ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ইউক্রেনে বিতর্কিত গণভোটে বিজয় দাবি রুশপন্থীদের

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের চারটি অঞ্চলে বিতর্কিত গণভোট শেষ হয়েছে। এতে মস্কোর নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণভোটে রাশিয়ার অংশ হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। অন্যদিকে কথিত এই ভোটাভুটিকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে কিয়েভ। 

ডনেস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজ্জিয়া ও খেরসনে তড়িঘড়ি করে এই গণভোটের আয়োজন করা হয়। এই চারটি এলাকা সম্মিলিতভাবে ইউক্রেনের ১৫ শতাংশ ভূখণ্ড। এসব এলাকার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ গণভোটে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন।

চারদিন ধরে চলা গণভোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনি কর্মকর্তারা সেনাসদস্যদের প্রহরায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ব্যালট বাক্স নিয়ে যান। শুধু মঙ্গলবার ভোটকেন্দ্র খোলা হয়। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকায় গণভোটের এই প্রক্রিয়া কোনও স্বতন্ত্র গোষ্ঠী পর্যবেক্ষণ করেনি।

গণভোট সম্পন্ন হওয়া চারটি অঞ্চলের সবগুলোতেই সবকটি ব্যালট গণনা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

লুহানস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানকার ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। জাপোরিজ্জিয়ায় মস্কোর নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেখানে এই হার ৯৩ দশমিক ১ শতাংশ। খেরসনের ভোটিং কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, সেখানকার ৮৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ রাশিয়ার অংশ হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে।

স্বঘোষিত ডনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের প্রধান ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, অঞ্চলটির ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার রাশিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় একীভূত করার ঘোষণা দিতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকাকে একই ধরনের গণভোটের পর রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন।

রাশিয়া যদি ডনেস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজ্জিয়া ও খেরসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ দেশের অংশ ঘোষণা করে তাহলে চলমান যুদ্ধ আরও বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছাতে পারে। কারণ ইউক্রেন যদি তাদের ভূখণ্ড মুক্ত করতে পাল্টা আক্রমণ চালায় তাহলে রাশিয়া এটিকে নিজেদের সার্বভৌম ভূখণ্ডে আক্রমণ হিসেবে দাবি করতে পারবে।

এসবি/