ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

উন্নয়ন যাত্রার অনন্য সারথি শেখ হাসিনা (ভিডিও)

প্রণব চক্রবর্তী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

বাঙালির ভাত আর ভোটের লড়াইয়ের অনবদ্য নাম শেখ হাসিনা। দুঃশাসনের শৃঙ্খল মুক্ত করে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে যিনি আলোকশিখা। ৭৫ পেরিয়ে এবার ৭৬-এ পা রাখলেন বাংলাদেশের উন্নয়নকাণ্ডারি শেখ হাসিনা।

অল্প সময়ে উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে যিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পৌঁছে দিয়েছেন উচ্চমার্গিয় সূচকে। জাতির জনকের বড় মেয়ে শেখ হাসিনাতেই তাই এদেশের মানুষের বিশ্বাস অটুট, স্বস্তি কিংবা ভরসাও যেনো কাঙ্ক্ষিত।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলটিতে শেখ হাসিনা নামটি অপরাপর রাজনীতিকদের মাঝে বিস্ময় জাগিয়েছে। এর কারণও অবশ্য বহুমাত্রিক। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী পোড় খাওয়া মানুষকে সঙ্গী করে তিনি বিশ্ব কাঁপাচ্ছেন।

১৯৪৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর। মধুমতির তীর ঘেঁষা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ হাসিনা। বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শেখ মুজিবুর রহমানের ঘর আলো করে আসা কন্যা হাসিনা আজকের সাহসিকা প্রধানমন্ত্রী। কৈশোরে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যিনি কাছ থেকে দেখেছেন মুজিবের সংগ্রাম, জেল-জুলুম আর স্বাধীনতার প্রশ্নে আত্মপ্রত্যয়ী বাঙালিকে।

১৯৬৭ সালে পরমানু বিজ্ঞানী ডক্টর ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সবার আদরের হাসু। তাঁদের দুই সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয় আর সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিজেদের কর্মদক্ষতায় স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। 

১৯৭৫ সালে জীবনের মোড় পাল্টে যায় শেখ হাসিনার। স্বামীর সঙ্গে বিদেশ থাকায় তিনি বেঁচে গেলেও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে চিহ্নিত ঘাতকেরা।

পিতার হাতে গড়া দেশ আর জনগণের টানে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। অতপর দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগের। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের পর ৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক সংগ্রামের উত্তাল স্রোতধারায় চলতে শুরু করে শেখ হাসিনার জীবননৌকা।  

শেখ হাসিনার সহপাঠী নাসরিন আহমাদ বলেন, “আমরা দু’জনেই ছাত্রলীগের যখন কিছু করতাম তখন রোকেয়া হলের মাঠে বসা হতো। ওর মধ্যে ডিলারশীপ কোয়ালিটি তখনই ছিল। অন্যরাও তার কথা শুনতো।”

প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধীদলে থাকতে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে বারংবার। ২১ আগস্ট তাঁকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল দেশি-বিদেশি চক্র। আগুন উপেক্ষা করে ফিনিক্স পাখির মতো বার বার জেগে উঠেছেন তিনি। 

নাসরিন আহমাদ বলেন, “যে পরিস্থিতি ছিলাম সেখান থেকে তো আমরা অনেক উন্নত। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা এ দেশ এবং এদেশের মানুষের জন্য নিজের সময়, নিজের চিন্তা, সবকিছু ব্যয় করবেন আর সেটাই তিনি করছেন।”

২০০৮ সালে বিপুল ভোটের ব্যতিক্রমী বিজয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। সেই থেকে আজ অব্দি ধারাবাহিকভাবে মহান দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি। আর এই সময়টিতে দেশের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে তাক লাগিয়ে দেন জনপরিসরে। বিশ্বের চোখে যিনি হয়ে ওঠেন উন্নয়ন যাত্রার অনন্য সারথি।

শেখ হাসিনার সহপাঠী আরও বলেন, “হাসিনাকে তখন দেখতাম বেশ অগোছালো। নিজের ঘরটা যে নিজের হাতে ঘুছিয়ে রাখতো তা কিন্তু নয়। একসময়ে ওই ঘরের নামই হয়ে গিয়েছিল আলসেখানা। সেই অলস মানুষটি আজকে কোথায়, কতধরনের কাজ করছে। শুধু এদেশের রাজনীতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত তা নয়, এখন ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সেও তিনি স্থান দখল করে নিয়েছেন।”

গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ, বিদ্যুৎ, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্নফুলী টানেলসহ অসংখ্যা প্রকল্পের উদাহরণ এখন মানুষের সামনে। বিশ্ব নেতারাও তাই সমীহ করেন শেখ হাসিনাকে।  

পঁচাত্তরতম জন্মবার্ষিকীতে আশাজাগানিয়া নাম শেখ হাসিনার পরবর্তী দিনগুলো হবে আরও কাক্ষিত, গোছানো ও পরিকল্পিত- প্রত্যাশা দেশবাসীর।                                                  

এএইচ