ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

সালিশ বৈঠকে দুই নারীকে নির্যাতন, বিচার হয়নি আজও (ভিডিও)

লিয়াকত আলী, রংপুর থেকে

প্রকাশিত : ০১:৩২ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৩৪ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

রংপুরের বদরগঞ্জে সালিশে হাত-পা বেঁধে দুই নারীকে নির্যাতন মামলার বিচার শেষ হয়নি এক যুগেও। আদালতে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত নির্যাতিতা ও তার স্বজনরা। উল্টো আসামিদের হুমকিতে আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। 

২০১১ সালের ২৫ জুন। রাজারামপুর কাশিপুর লিচু বাগান এলাকায় বসানো হয় কথিত সালিশ-বৈঠক। চরিত্রহীনতার অভিযোগ এনে প্রকাশ্যে হ্যাপি বেগমকে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয় শাহেদা নামে আরও এক নারীকে।  

সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে একুশে টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর দেশ-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। নির্দেশদাতা সেই সময়ের মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল হককে প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়।

সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হলেও নানা অজুহাতে শেষ হচ্ছে না বিচারকাজ। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় বাদীপক্ষ।

নির্যাতিতা নারী হ্যাপি বেগম বলেন, “কোর্টে যাচ্ছি শুধু তারিখের পর তারিখ দেয়। কিন্তু মামলার রায় পাচ্ছি না। বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে তারা।”

হ্যাপির মা-বাবা বলেন, “হুমকি দেওয়া হচ্ছে- মেয়েকে মেরে ফেলবে, আমাদের থাকতে দিবে না। দীর্ঘদিন হলেও আমরা কোনো বিচার পাচ্ছি না।”

দীর্ঘদিনেও বিচার না হওয়ায় হতাশ মধুপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান। আদালতে মামলাজটের কারণে বিচার দেরি হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি

মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূর আলম বলেন, “অপরাধী যেই হোক, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচারটা দ্রুত হওয়া দরকার।”

পিপি আবদুল মালেক বলেন, “মামলা মনিটরিং করার জন্য হাইকোর্টের প্রতি বিভাগে একজন করে বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে। কোথায় কতদিন কোন মামলা পড়ে আছে সেই লিস্ট নিচ্ছে, কেনো হচ্ছে না তারও লিস্ট নেওয়া হচ্ছে এবং মামলার নিষ্পত্তির না হওয়ার কারণ চাওয়া হচ্ছে।”

আলোচিত এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর।

এএইচ