হুমকির মুখে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন স্থল হালদা (ভিডিও)
মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
শিল্প কলকারখানার বর্জ্য, অবৈধ বালু উত্তোলন, তামাক চাষে কীটনাশকের ব্যবহার, দখল দুষণসহ নানা কারণে হুমকির মুখে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন স্থল হালদা নদী। এ নদীকে জাতীয় নদী ঘোষণা করে এর সংরক্ষণের তাগিদ পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞদের।
চট্টগ্রাম মহানগরী এবং আশপাশে গড়ে উঠা শিল্প-কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য দুষিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় কার্পজাতীয় মাছের অন্যতম প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী।
স্থানীয়রা বলেন, “মেডিসিনযুক্ত পানিগুলো ছোট ছোট নদী দিয়ে হালদা নদীতে যাচ্ছে। তাতে মাছ বিলীন হয়ে যাচ্ছে।”
পানির ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন এবং ক্রমাগত পরিবেশ দুষণের কারণে হালদায় জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে বলে জানান গবেষকরা।
সাবেক মুখ্য সচিব ও হালদা বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল করিম বলেন, “ফটিকছড়িতে তামাক চাষে কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে, ওইগুলোর বর্জ্য যখন নদীতে আসে তখন পানি দূষিত হয়। হালদাকে জাতীয় নদী ঘোষণা করা দীর্ঘদিনের দাবি। এটাকে যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
দূষণের কবল থেকে হালদাকে রক্ষা করা না গেলে হালাদায় মাছসহ অনান্য প্রাণীর বিচরণ কমে যাবে বলে আশংকা হালদা গবেষকদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা গবেষক ও সাবেক প্রাণী বিদ্যা বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, “যদি পলিউশন রোধ করতে পারি এবং খালগুলো খনন করে যদি নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে হালদাকে টিকিয়ে রাখা যাবে।”
হালদাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হালদাকে রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়রা।
হালদা রক্ষা পরিষদের নেতা মো: মহিউদ্দিন বলেন, “সরকার থেকে অবশ্যই হালদা ব্যাপারে বরাদ্দ আছে। নয়তো এই হালদা নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হতো না।”
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, “ভবিষ্যতে হালদার প্রজনন নির্ভর করছে ক্লাইমেট চেঞ্চের উপর, নির্ভর করছে হালদার পলিউশন ফেরানোর উপর, নির্ভর করছে হালদা মেন্টেনেজের উপর এবং হালদা সংশ্লিষ্ট নদীগুলোর ব্যবস্থাপনার উপর।”
পরিবেশ বিপর্যয় রোধ এবং জীব বৈচিত্র প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সবার।
এএইচ