চার দশকে এমন বিক্ষোভ দেখেনি ইরান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রবিবার
ইরানে এবারের আন্দোলন হচ্ছে ভিন্ন পথে। কট্টর ধর্মীয় আইনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে তরুণ-বৃদ্ধসহ সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। খামেনী সরকারের শক্ত ভিতে নাড়া দিয়েছে হিজাববিরোধী এই আন্দোলন। সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত নোবেল জয়ী ইরানী লেখক শিরিন এবাদি।
তেহরানের রাজপথে নারীরা। কেউ হিজাব খুলে, কেউ চুল কেটে প্রতিবাদে সরব। ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণকারী কট্টর ধর্মীয় অনুশাসন আর মানতে না-রাজ তারা।
নারীদের এই আন্দোলনে সামিল পুরুষরাও। কিশোর থেকে বৃদ্ধ-সব বয়সী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে। শুধু তাই নয়, সমাজের ধনী-গরীব-সব স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে আরও জোরালো হয়ে উঠছে বিক্ষোভ।
সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে আন্দোলনের এমন ভিন্নতার কথাই তুলে ধরলেন লন্ডনে নির্বাসিত নোবেল জয়ী ইরানী লেখক শিরিন এবাদি। বলেন, সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে এই আন্দোলন।
সরাসরি নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের এমন বিক্ষোভ গেল চার দশকের মধ্যে কখনো ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন এবাদি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুধু কথার বুলি নয়, কাজে তার প্রতিফলন দেখানোর তাগিদ দেন তিনি। বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে হত্যাকারীদের নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করতে বলেন এবাদি।
একইসঙ্গে পরমানু চুক্তির পাশাপাশি ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হিজাব পড়ার মতো কট্টর ধর্মীয় আইন বাতিলে আন্তর্জাতিক মহলকে চাপ বাড়ানোর আহ্বান তার।
এএইচ