জিরো টলারেন্স নীতিতেও বন্ধ হচ্ছে না মানব পাচার (ভিডিও)
নূরন নবী
প্রকাশিত : ০৮:৪৮ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১০:০২ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রবিবার
সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও উদ্যোগ থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না, মানব পাচার। বেশি অর্থ আয়ের প্রলোভনে নিয়োগ কর্তা ও প্রতিষ্ঠানের নির্ভরযোগ্য তথ্য না নেয়াই প্রধান কারণ। মানব পাচার নিয়ে প্রথমবারের মত জাতীয় গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আটটি কারণ।
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে, বাংলাদেশ মানব পাচারের বড় একটি উৎস।
এখানকার, অভিবাসন খরচ সব সময় নিরাপদ অভিবাসনের পথে বড় বাধা। আছে, দারিদ্রতা, কর্ম সংস্থানের বড় অভাব।
এই গবেষণায়, বাংলাদেশের মত দেশে মানব পাচারের ৮টি অন্যতম কারণ চিহ্নিহিত করা হয়েছে। যেখানে, একান্ন শতাংশ পাচারের ঘটনা ঘটেছে, দারিদ্রের কারণে। ২০ শতাংশ মানুষ কাজের খোঁজে বিদেশ পাড়ি দিয়েছে, উপায়হীন কর্মহীন পরিবারের সন্তান বলে।
এসব নাজুক অবস্থা অপরাধী চক্রের পক্ষেই যায়, সব সময়। বিদেশ বিভূঁইয়ে ৫৯ ভাগই জোরজবরদস্তি কাজে নিয়োগ আর, ৪১ ভাগ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। দুর্ভাগ্য, মানবাধিকার লংঘিত হলেও বেশিরভাগেরই খবর পৌঁছায় না।
এসব ভুক্তভোগীকে সহায়তা দেয়া এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ বলেও উঠে এসেছে, গবেষণায়। ফাঁকফোকর অনুসন্ধান, প্রয়োজন নির্ণয়ে, নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও পারস্পরিক সমন্বয় জরুরী বলেও সুপারিশ এসেছে।
নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সব সময় সরকারের দায়িত্ব। তবে কর্মক্ষেত্র ও নিয়োগ কর্তার ন্যূনতম তথ্য না জেনে অনেকেই ব্যক্তি পর্যায়ে ফাঁদে পা দেয়। এটিকেই বড় চ্যালেঞ্জ বললেন, সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা।
প্রবাসী কল্যান ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, "বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নেন তারা, তবে এজন্য তারা আইন মেনেও যেতে পারেন, এতে যেসব দেশে তারা যাবেন সে সব দেশও সন্তুষ্ট থাকবে এবং যারা যাবেন তারাও নিরাপদে থাকবেন।"
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, "মানবপাচারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হলে প্রধান সমস্যাগুলো কী কী তা চিহ্নিত করতে হবে।"
মানব পাচারের মত অপরাধ কমিয়ে আনতে এখন বৈশ্বিক বাস্তবতায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শও এলো প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠান থেকে।
এসবি/