ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ইয়ানের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি বেড়ে ৮৮

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:১৮ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০২:১৯ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার

হ্যারিকেন ইয়ানের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অন্তত ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্লোরিডার উপকূলে বুধবার ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার গতির ইয়ান আছড়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়, ফ্লোরিডার উপকূলীয় লি কাউন্টিতে ৪২ জন মারা গেছেন। প্রতিবেশী কাউন্টিতে আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নর্থ ক্যারোলিনায় ৪ জন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ফ্লোরিডার সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। উপকূলীয় কাউন্টির কর্মকর্তারা সময়মতো সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে না নিতে পারায় এত বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

অবশ্য লি কাউন্টির কমিশনার বোর্ডের চেয়ারম্যান সেসিল পেন্ডারগ্রাস রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হ্যারিকেনের ভাব স্পষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই সবাইকে সরিয়ে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু লোক সরে আসতে রাজি হয়নি। আমি তাদের পছন্দকে সম্মান করি, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে তাদের অনেকেই এখন অনুশোচনা করছে।’

মার্কিন ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডেন ক্রিসওয়েল বলেন, ‘ফেডারেল সরকার ফ্লোরিডায় তার সার্বিক সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের আগামী বুধবার ফ্লোরিডা পরিদর্শনের কথা রয়েছে।’ 

এর আগে ইয়ান ফ্লোরিডার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন বাইডেন।

উত্তর ক্যারোলিনার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তবে দক্ষিণ ক্যারোলিনায় এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, যেখানে ইয়ান শুক্রবার আরেক দফা আছড়ে পড়ে। এরপর ইয়ান ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়। তবে এর প্রভাবে কিছু এলাকায় পানির স্তর বাড়তে থাকে এবং বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার পূর্বাভাস দিয়েছে, পশ্চিম ভার্জিনিয়া ও পশ্চিম মেরিল্যান্ডের কিছু অংশজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং মধ্য ফ্লোরিডায় ব্যাপকাকারে বন্যা দেখা দিতে পারে।

হ্যারিকেন ইয়ানের আঘাতে ফ্লোরিডার সমুদ্র তীরবর্তী ঘরবাড়ির অধিকাংশ বিলীন হয়ে গেছে। যেগুলো বাকি রয়েছে সেগুলোও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপকূলীয় সানিবেল দ্বীপের সিটি ম্যানেজার ডানা সুজা জানান, দ্বীপের তীরে সারিবদ্ধভাবে থাকা স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানকার বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সুয়ারেজ লাইন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্যানিবেলের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সেতুটিও ভেঙে গেছে। ফলে সেখানকার ন্যাশনাল গার্ড ও কোস্ট গার্ড হেলিকপ্টারে করে দ্বীপগুলোতে গিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে।

এনএস//