ভারতীয় আকাশসীমায় ইরান-চীন ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানে ভারতের আকাশসীমায় থাকা অবস্থায় বোমা আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় বিমানটির পাইলট দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে যোগাযোগ করে অনুমতি চায়। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দিল্লিতে নামার জন্য অনুমতি না দিয়ে বিকল্প পথ দেখালে পাইলট তা প্রত্যাখ্যান করে নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে যায়।
সোমবার সকালে মাহান এয়ার লাইন্সের যাত্রীবাহী এই বিমানটি তেহরান থেকে চীনের গুয়াংজু যাচ্ছিল। বোমাতঙ্কের খবর পাওয়ার পর দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়। পাশাপাশি বিমানটি পর্যবেক্ষণ করতে ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের যুদ্ধ বিমান আকাশে উড়ায়। খবর এনডিটিভির।
ভারতীয় বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, বোমাতঙ্কে পড়ে ইরানের যাত্রীবাহী এই বিমানটির পক্ষ থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয়। বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বিমানটিকে জয়পুর বা চন্দ্রিগড়ে অবতরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু পাইলট সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে উড়ে যায়। এ সময় ভারতীয় যুদ্ধ বিমানগুলো বিমানটিকে নিরাপদ দূরত্ব থেকে অনুসরণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিমানটি চীনের আকাশসীমায় পৌঁছে গেছে। এর আগে স্থানীয় সময় ৯টা ২০ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে যোগাযোগ করে বোমার হুমকির বিষয়টি জানান বিমানের পাইলট। তারপরই দিল্লি বিমানবন্দর জুড়ে সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেহরানের পক্ষ থেকে বোমার ভয়কে উপেক্ষা করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাওয়ার নির্দেশনা পাওয়ার পর বিমানটি তার যাত্রা অব্যাহত রেখে চীনের আকাশসীমায় পৌঁছায়।
ভারতীয় বিমান বাহিনী বলেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরোর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সব পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। ভারতীয় আকাশসীমার পুরোটা রাস্তায় বিমানটিকে বিমান বাহিনী গভীর রাডার নজরদারিতে রাখে।
এদিকে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বোমার হুমকির বিষয়টি দিল্লি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানিয়েছিল।
এসএ/