ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১

পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

লিঙ্কনে অনুশীলনে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা

লিঙ্কনে অনুশীলনে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল নিউজিল্যান্ড। এবারও সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। এই ফরম্যাটে পাকিস্তানও বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা তিন নম্বরে। বিশ্বকাপের আগে এমন দুটি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগটা তাই কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।

ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের মতে, এই দুই দলের সঙ্গে লড়াই জমাতে পারলে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিটাও দারুণ হবে।

সেই ভালো প্রস্তুতির লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ এখন নিউজিল্যান্ডে। দীর্ঘ ভ্রমণের পর রোববার ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছায় দল। এরপর বিশ্রামের পালা শেষে মঙ্গলবার লিঙ্কনে অনুশীলনে ঘাম ঝরান ক্রিকেটাররা।

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের মূল লক্ষ্যই হলো বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। এই সংস্করণে ক্রমাগত ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের জন্য এই টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়ার আছে অনেক কিছু। দলের ঘাটতি-দুর্বলতার বেশ কিছু জায়গা নিয়ে প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে হবে এই টুর্নামেন্ট থেকে। পাশাপাশি দলগত প্রস্তুতির দিক থেকেও একটি লক্ষ্যের কথা তুলে ধরলেন সিডন্স।

ক্রাইস্টচার্চে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘এর চেয়ে ভালো কিছু আর চাইতে পারতাম না আমরা। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট দল একটি। পাকিস্তানও ওপরের সারির, দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টি দল। আমরা যদি ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারি।’

শুধু প্রতিপক্ষ নয়, উইকেট ও কন্ডিশনের দিক থেকেও এই টুর্নামেন্টকে প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চ মনে করছেন সিডন্স। যদিও নিউজিল্যান্ডে এখনও অনেক শীত। আর অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের সময় থাকার কথা বেশ গরম। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের উইকেটগুলোতে অনেক সময় মুভমেন্টও বেশি থাকে, যা অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায় কম। তবে এই টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে হওয়ায় খুব একটা চিন্তিত নয় বাংলাদেশ।

কারণ, সেখানকার উইকেটের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মিল খুঁজে পান সিডন্স। তিনি বলেন,  ‘কন্ডিশন অনেকটাই একরকম। এখানে মাঠে ও ইনডোর সেন্টারে উইকেট বেশ ভালো। আমরা এখানে এজন্যই এসেছি। হ্যাগলির উইকেট অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার মতোই হবে। অস্ট্রেলিয়ায় মৌসুমের শুরুটায় উইকেট যে রকম থাকে, এখানেও প্রায় একইরকম।’

এদিকে, প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে দুবাইয়ে সপ্তাহখানেকের সফর সেরে এসেছে বাংলাদেশ দল। প্রত্যাশিত দাপটে না হলেও সেখানে দুটি ম্যাচে ধরা দিয়েছে জয়। সামনে তাকিয়ে সিডন্স এখন তরুণদের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায়।

টাইগার ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘দুবাইয়ে এক সপ্তাহের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলে ও অনুশীলন করে এসেছি আমরা। সেখানে সুযোগ-সুবিধা ছিল দুর্দান্ত। আমাদের দলটা বেশ তরুণ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কেউ কেউ অবসর নিয়েছে, কেউ এই সফরে নেই। তবে তরুণ দলটা নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। তাদের শেখার অনেক কিছু আছে। খুব ভালো ও শক্তিশালী দুটি দলের বিপক্ষে ওরা কেমন করে, দেখতে আমরা মুখিয়ে আছি।’

বাংলাদেশ দলের ওপেনিং নিয়ে সিডন্স বলেন, ‘সাব্বির ও মিরাজের মতো ছেলেরা ব্যাটিং ওপেন করছে, তামিম-লিটনের ওপেন করার চেয়ে এটা পুরোই আলাদা। লিটন যদিও আছে, তিন বা চার নম্বরে। সিনিয়র ক্রিকেটারও আছে। তবে তরুণরা খুবই রোমাঞ্চকর এবং প্রাণবন্ত। আশা করছি, তারা সেভাবেই নিজেদের মেলে ধরবে।’

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই দিয়েই ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করবে সাকিবের দল।

এনএস//