মর্যাদায় গাড়ি চালকদের নিচে শিক্ষকরা! (ভিডিও)
রিয়াজ সুমন
প্রকাশিত : ১০:০০ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১০:০৮ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২২ বুধবার
মন্ত্রণালয়ের গাড়ি চালকদের চেয়েও প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদা একধাপ নিচে। স্নাতকত্তোর পাশ করে প্রাথমিকের শিক্ষকতায় ঢুকলেও মিলছে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারির মর্যাদা।
সুবিধা ১৩তম গ্রেডের। অথচ ১২তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন গাড়ি চালকরা। যাদের নিয়োগযোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাশ। নানা বৈষম্যের কারণেই মেধাবীরা আগ্রহী হচ্ছেন না শিক্ষকতায়। যদিও শিক্ষা-ব্যবস্থার স্বার্থেই শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ঢাকা জেলার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আফতাব উদ্দিন। মাত্র ৬০ টাকা বেতনে ১৯৬৬ সালে বেছে নেন শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশা। চাকরি করেছেন ৩৮ বছর। দীর্ঘ এই সময়ে জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থীর মাঝে। যাদের অনেকেই এখন নানা পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু কেমন আছেন এই শিক্ষক?
আফতাব উদ্দিনের বয়স এখন ৭০ ছুঁইছুঁই। কিন্তু তবুও থেমে নেই তার জীবন সংগ্রাম। ২০০৫ সালে অবসরোত্তর যে আর্থিক সুবিধা পেয়েছিলেন; তার সবই খরচ হয়ে গেছে পরিবারের পেছনে। এখন হাত একেবারেই শূন্য। সহায় বলতে শুধু মাস শেষে পেনশনের কটা টাকা। যা দিয়ে একটু ভালো খাবার বা দরকারি ওষুধের খরচও মিটছে না। বাধ্য হয়েই শাকসবজি বিক্রি করে সংসারের ঘানি টানছেন তিনি।
এমন বাস্তবতায় প্রাথমিক শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মেধাবীরা। বলছেন, শিক্ষকদের জন্য সরকার এখনো আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো তৈরি করতে পারেনি। পাশাপাশি এ পেশায় বেশি দূর এগুনোরও সুযোগ নেই।
উন্নত রাষ্ট্রগুলো শিক্ষকতা পেশাকে যথাপোযুক্ত মর্যাদা দিচ্ছে। আর মর্যাদার পাশাপাশি ভালো বেতন-ভাতার কারণে প্রতিবেশি দেশ ভারতেও এ পেশা বেশ আকর্ষনীয়। শিক্ষকদের বেতনের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন অবস্থানে বাংলাদেশ। শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীরা এগিয়ে না আসায় মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর কথা বলা হয়েছে। তবে একযুগেও এ সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি।
এসি