ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৮ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

প্রত্যেক বিবাহিত দম্পতিই চায় তাদের জীবনে সন্তান আসুক। সাংসারিক দাম্পত্য জীবন পূর্ণতা পায় যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এক নতুন জীবন আসার ইঙ্গিত দেয়। নিজেদের সমস্ত ভালোবাসা এবং সামর্থ্য উজাড় করে সেই সন্তান বড় করে তোলা যে কোন স্বামী-স্ত্রীর প্রধান দায়িত্ব হয়ে পড়ে। নিজেদের সমস্ত চাওয়া পাওয়া, স্বপ্ন সব কিছু তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়।

কিন্তু এই স্বপ্নের অন্তরায় হতে দাঁড়াতে পারে বন্ধ্যাত্ব। এটা সাংসারিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।  

তাই এই বন্ধ্যাত্ব সমস্যার মোকাবিলা করার কিছু উপায় তুলে ধরা হলো...

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের জনন গ্রন্থিগুলোতে আক্রমণকারী পদার্থগুলোকে ধ্বংশ করে এবং তাদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। একই সাথে গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এর পাশাপাশি স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে। যেকোনো ধরনের সবজি, ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এর জন্য ভালো।

সকালের খাবার

সকালের খাবার সবসময় চেষ্টা করুন বেশি করে খাওয়ার। সুস্থ্য ডায়েট যদি চান অবশ্যই দিনের প্রথম খাবার ভালো হতে হবে। অনেকে মনে করেন যে সমস্ত মহিলারা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে হেভি ব্রেকফাস্ট অনেকটাই কাজ দেয়।

ট্রান্স ফ্যাট

বিয়ের পরপরই চেষ্টা করুন ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার না খেতে। সাধারণত মার্জারিন, প্রসেসড ফুড এবং অন্যান্য খাবার যাতে ফ্যাট বেশি আছে এড়িয়ে যাওয়া দরকার। এর সাথে কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়া শুরু করুন ডায়েটে। এতে শরীরে ইনসুলিনের লেভেল কমবে।

মাল্টিভিটামিন

যেসব নারীরা শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী মাল্টি ভিটামিন খান, তাদের বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা অনেক কম হয় বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর সাথে গ্রীন-টি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাওয়া দরকার।

মাদকদ্রব্য গ্রহণ বর্জন করুন

অতিরিক্ত অ্যালকোহল খাওয়া কমান। মাদকদ্রব্য গ্রহণের অভ্যাস থাকলে অবশ্যই তা ক্ষতিকর। কারণ এইটি পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমায়। একইসাথে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন বা পরিমিত সেবন করুন।

শরীরচর্চা 

প্রয়োজনের অতিরিক্ত বসে থাকলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে। যা ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান প্রচুর পরিমাণে। সাথে খান সেই সব ফল যা প্রাকৃতিকভাবে আয়রনের পর্যাপ্ত যোগান দিতে পারে।

এমএম/