ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

অ্যামাজনে যোগ দিলেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী খায়রুল বাসার

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০৪ এএম, ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

বিখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিলেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থী খায়রুল বাসার। 

অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ গত ২৬ জুলাই ই-মেইলের মাধ্যমে খায়রুলের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপর গত ৪ অক্টোবর অ্যামাজনের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন তিনি। 
 
খায়রুল বাশার নাটোরের নলডাঙ্গা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি হাবিপ্রবির সিএসই বিভাগের ১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। অ্যামাজনে যোগ দেয়ার আগে তিনি জার্মানির বার্লিনের ক্যাপগেমিনি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন।

অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ্, বেশ ভালো লাগছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বজায় রাখবো। এই সাফল্যের জন্য আমার পরিবার, শিক্ষক, সহপাঠী ও সহকর্মীসহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।”

আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আশা করছি, সামনে বিশ্বের বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করার সুযোগ পাবে।”

অনুজদের উদ্দেশ্য খায়রুল বাশার বলেন, “পরামর্শ থাকবে শুধুমাত্র সিজিপিএ'র দিকে ফোকাস না করে শেখার দিকে মনোযোগ দেয়ার। প্রবলেম সলভ করার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে হবে।”

ইন্টারভিউয়ের সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির এই শিক্ষার্থী বলেন, “অ্যামাজনে ইন্টারভিউ দেওয়ার পর আমার মনে হচ্ছিল যে এবার আর হবে না। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় আমি ডাক পেয়েছি। মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর অনলাইন অ্যাসেসমেন্ট, ফোন স্ক্রিন ইন্টারভিউ এবং সবশেষে ভার্চুয়াল অনসাইটের চার ধাপের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছিল।”

তার এই সাফল্যে আনন্দিত হাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ বলেন, “খায়রুল বাসারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই। কৃতি এই শিক্ষার্থী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গৌরবান্বিত করেছে। তার এই অর্জন আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে।”

এএইচ