প্লাস্টিক বর্জ্য: প্রয়োজন রিসাইকেল, রিইউজ এবং রিডিউজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৪ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪২ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
প্লাস্টিক বর্জ্য সম্পদে পরিণত করতে সঠিক নীতি প্রণয়ন জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। রাজধানীতে এফবিসিসিআই আয়োজিত সেমিনারে একথা বলেন তারা।
দেশের নগরাঞ্চলগুলোতে বছরে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার বর্তমানে ৯ কেজি, ২০০৫ সালে যা ছিল ৩ কেজি। আর বছর জুড়ে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের এক তৃতীয়াংশ সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে ৩৭ শতাংশ পুনর্ব্যবহার যোগ্য। বাকি সব প্লাস্টিক ফেলে দেয়া হচ্ছে ডাম্পিং ইয়ার্ডে অথবা খাল-নদী হয়ে চলে যাচ্ছে সমুদ্রে।
এমন পরিস্থিতিতে প্লাস্টিক বর্জ্যরে টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে এফবিসিসিআইএর সেমিনার। এসময় বক্তারা বলেন, ২০০২ সালে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। কারণ এর কোন বিকল্প নেই। এমন পরিস্থিতিতে প্লাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সঠিক নীতি প্রণয়নকে গুরুত্ব দিলেন তারা।
এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন বলেন, "রিসাইকেল, রিইউজ এবং রিডিউজ আমরা তিনটাই করতে পারি। যেখানে প্রয়োজন রিইউজ করতে পারি, যেখানে প্রয়োজন, রিডিউজ করতে পারি আবার যেখানে প্রয়োজন রিসাইকেল করতে পারি।"
প্লাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে উৎসেই একে অন্য বর্জ্য থেকে আলাদা করতে হবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন প্লাস্টিক বর্জ্যকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এবিষয়ে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, "এই প্রসেসটাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এপ্রুভ করেছেন, আমার মনেহয় এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।"
এ ধরণের প্রকল্পে সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চায় বলেও জানান মন্ত্রী।
এসবি/