ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

চলতি শতাব্দীতেই বিশ্ব থেকে ল্যান্ডফোনের বিদায়

আদিত্য মামুন, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০১:০১ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার

বিশ্বজুড়েই কমছে ল্যান্ডলাইন। চলতি শতাব্দীতেই বিশ্ব থেকে বিদায় নিতে পারে ল্যান্ডফোন। বাংলাদেশেও কমছে ল্যান্ডলাইনের সংযোগ। গেল ৭ বছরে দেশে ল্যান্ডফোনের গ্রাহক কমেছে প্রায় ৩ লাখ। তবুও এখনও আশার কথা বলছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিফোন কোম্পানি বিটিসিএল।

ভাব বিনিময় কিংবা জরুরি কথা; আদান-প্রদানে উচ্চ আর মধ্যবিত্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল টেলিফোন।  
                
বাসায় ফোন না থাকার আক্ষেপও কম ছিল না। সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে। ল্যান্ডফোনের চেয়েও সহজ মাধ্যমে বিনিময় হচ্ছে কথা। সাথে মিটছে চোখের দেখার সাধও। 

মোবাইল ফোন আর এন্ড্রয়েড সিস্টেম বদলে দিয়েছে যোগাযোগ-ব্যবস্থা। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়েই কমছে ল্যান্ডলাইনের সংখ্যা।  

গবেষণা বলছে, মাত্র ২২ বছর আগে অর্থাৎ ২০০০ সালেও যুক্তরাষ্ট্রে ল্যান্ডলাইনের সংযোগ ছিল ১৮ কোটির ওপরে। ক্রমহ্রাসমান ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে তা নেমে এসেছে ৯ কোটি ৭১ লাখে।

ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোর অবস্থাও প্রায় একই রকম। প্রতি বছরে ফ্রান্সে ল্যান্ডলাইন কমছে ২.৩ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১.৬ শতাংশ, জার্মানিতে ১.২ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়ায় কমছে ৩.২ শতাংশ হারে। 

গবেষণা প্রতিষ্ঠান রাফস বলছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩৭ সালেই অস্ট্রেলিয়া থেকে বিদায় নেবে ল্যান্ডফোন। ফ্রান্সে ল্যান্ডলাইন থাকবে ২০৫৫ সাল, যুক্তরাজ্যে ২০৬৭ সাল, আর জার্মানিতে ২০৮৯ সাল পর্যন্ত।

অভিন্ন চিত্র বাংলাদেশেও। ২০১৫ সালের পর ল্যান্ডলাইন কমেছে প্রায় ৩ লাখ। ল্যান্ডফোনের প্রতি মানুষের আগ্রহও বাড়ছে না।  

তবুও আশার কথা বলছে বাংলাদেশ টেলিকমিউকেশনস কোম্পানি বিটিসিএল। সেবার মান বাড়িয়ে সংকট কাটাতে চায় সংস্থাটি।  

বিটিসিএল এমডি রফিকুল মতিন বলেন, “গ্রাহকের চাহিদাগুলোকে সমন্বয় করেছি, গ্রাহকের আগ্রহটাকে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি। এখন আমরা এর ফলটা পাওয়া শুরু করেছি। আমরা যে জিনিসটাকে ফোকাস করেছি, সেটা হলো প্রত্যেকটা জিনিস থাকবে একটা ট্রান্সফারেন্ট সিস্টেমের মধ্যে।”

আধুনিকায়নের মাধ্যমে ল্যান্ডফোনের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর পরিকল্পানা রয়েছে বলে জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীও।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “এখন জি-৪ নামে একটা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি গিগাবাইট প্যাসিফ নেটওয়ার্ক, এটা যদি আপনি শুধু ল্যান্ডফোনে নয় মোবাইল ফোনেও কথা বলতে পারবেন, ওটিটি প্লাটফর্মে কথা বলতে পারবেন। তার সাথে ৫-জি কানেক্টিভিটিও সংযোগ করতে পারবেন।”

নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দরকার নতুন প্রকল্প। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ও ডাক বিভাগেও বিনিয়োগ কম হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত ফল মিলছে না।  

এএইচ