ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মা হারালেন অভিনেত্রী ঈশিতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৮ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুমানা রশীদ ঈশিতার মা জাহানারা খান নদী মারা গেছেন। সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরার বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ঈশিতার মা ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছিল। সাভারে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

খবরটি নিশ্চিত করেছেন ঈশিতার ঘনিষ্ঠজন, গণমাধ্যমকর্মী রুম্মান রশীদ খান।

ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- “ছোটবেলা থেকে মা আপনার সাথে প্রতি পদক্ষেপে যেমন ছায়ার মত ছিলেন, আপনিও মায়ের অসুস্থতার সময় এক বিন্দু তাকে চোখের আড়াল করেননি। সব লোভনীয় কাজের প্রস্তাব অবলীলায় ফিরিয়ে দিতেন। বলতেন, আম্মার যদি কিছু হয়ে যায়? ৩.৫ বছর ক্যান্সারের সাথে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে আজ সকাল ৭.৩০টায় চলে গেলেন আন্টি। স্টেজ-৪ থেকে আজ চলে গেলেন দূর আকাশে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ যখন খুব নির্লিপ্তভাবে বলছিলেন, ‘রুম্মান, আম্মাকে গোসল করাচ্ছি, সবাইকে বলো আম্মার জন্য দোয়া করতে।’ আমি অনুভব করছিলাম আপনার ভেতরটা কতটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও এখনো আমার শোক কাটিয়ে উঠতে পারিনি। কখনো পারবো কিনা, তাও জানিনা।

সবাই আন্টির জন্য দোয়া করবেন। ঈশিতা আপু মাকে নিয়ে যাচ্ছেন সাভারে। সেখানে জানাজা শেষে আজ-ই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।”

উল্লেখ্য, জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুমানা রশীদ ঈশিতা ১৯৮৫ সালের ২২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিভা অন্বেষণমূলক আয়োজন ‘নতুন কুঁড়ি’তে চ্যাম্পিয়ন হওয়া শিশুশিল্পী তিনি। ওই সময়েই তারকাখ্যাতি পান। তাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় নাটক। বড় হয়েও জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন এই তারকা।

ঈশিতার প্রথম অভিনীত নাটক ছিল ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় ও ফখরুল আবেদীনের পরিচালনায় ‘দু’জনে’। এরপর বড় হয়ে শহীদুল হক খানের ‘তিথি’ নাটকের মধ্যমে নায়িকা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ঈশিতা শুধু অভিনেত্রী নন, পরিচালক, লেখিকা ও গায়িকা হিসেবেও নিজেকে মেলে ধরেছেন।  

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘চক্রবলয়’, ‘দেখা’, ‘সাদা পাতায় কালো দাগ’, ‘থাকা না থাকার মাঝখানে’, ‘কাগজের গল্প’ ইত্যাদি। বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত ঈশিতা। কালেভদ্রে বিশেষ দিবসের নাটকে দেখা মেলে তার।
এসএ/