মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪৪ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
ফাইল ছবি: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গা শরণার্থী
প্রতিবেশী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ঢাকা খুবই উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তীব্র সংঘাত চলছে। আমরা মিয়ানমার ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকরা সীমান্তের অপর প্রান্তে সংঘাতের কারণে আতঙ্কে দিন পার করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারকে (জান্তা সরকার) বারবার আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লংঘন না করার জন্য বলে আসছি। আর মিয়ানমার সরকার ঢাকাকে প্রতিবারই নিশ্চিত করেছে যে, তারা এ ধরনের সীমান্ত লংঘনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না, যা সমগ্র দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ফেলে দেবে। তিনি আরও বলেন, আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখে চলছি।
ড. মোমেন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)’র কোন ধরণের উপস্থিতি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা (বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) কোনো বিদেশী সংগঠনকে প্রশ্রয় দিই না।’
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চীনের মধ্যস্থতার ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, বেইজিং বাংলাদেশের উদ্বেগ সম্পর্কে নেপিদোকে জানিয়েছে এবং মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে বাংলাদেশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক নিয়ন-কানুন লংঘন না করার অনুরোধ করেছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক যে এখনও সীমান্তে মাঝে মাঝেই মানুষ নিহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লি কোনো হতাহতের ঘটনা দেখতে চায় না মর্মে মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হলেও সীমান্তে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি... এটি (সীমান্তে হত্যাকাণ্ড) আমাদের জন্য দুঃখজনক এবং ভারতের জন্য লজ্জাজনক।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে, ভারতের মতো একটি দায়িত্বশীল ও বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ সীমান্ত হত্যার বিষয়ে তাদের বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
সূত্র: বাসস
এসবি/