ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কার্চ ব্রিজ বিস্ফোরণে নড়েচড়ে বসেছে পুতিন প্রশাসন

দুলি মল্লিক, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৫ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

ক্রিমিয়ার সাথে রাশিয়ার একমাত্র সংযোগকারী কার্চ ব্রিজে বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুতিন প্রশাসন। রাশিয়ার অবকাঠামোগত উন্নয়নের অন্যতম নিদর্শন এই সেতু, অর্থনীতি ও ভূ-রাজনীতি উভয় ক্ষেত্রেই মস্কোর জন্য সমান গুরুত্ব বহন করে। 

ক্রিমিয়া দখলের ৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১৫ মে কার্চ সেতুর উদ্বোধন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেদিন কমলা রঙের একটি ট্রাক চালিয়ে পুরো সেতুটি পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। রুশ গণমাধমের মতে, ইউরোপের দীর্ঘতম এই সেতু শতাব্দীর সেরা নির্মাণকাজ। 

১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এতে রয়েছে আলাদা সড়ক ও রেলপথ। প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার গাড়ি যাতায়াত করে এর উপর দিয়ে। ট্রেন যায় ৫০টি।

এই সেতু দিয়ে সমুদ্র ও বিমান রুটের তুলনায় অনেক কম খরচে ক্রিমিয়ায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করে রাশিয়া। যাতায়াত সহজ হওয়ায় বেড়েছে পর্যটন ও রাশিয়া-ক্রিমিয়া রফতানি বাণিজ্য। অনেকের মতে এই সেতু ওই অঞ্চলে উন্নয়নের নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে।

তবে শনিবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণ, অঞ্চলটির বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে কিছুটা বাধাগ্রস্ত করেছে। প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে কাঁচামাল ও খাদ্য সরবরাহে। বর্তমানে ব্রিজটি আংশিক খুলে দেয়া হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। 

যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর ক্ষতি হওয়া বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ শুধু ক্রিমিয়া নয়, ইউক্রেনের পুরো দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই সেতু। এছাড়া ইউক্রেনে রুশ সেনাদের রসদ সরবরাহেরও অন্যতম প্রধান পথ এটি।

মস্কোর ধারণা, ব্রিজে বিস্ফোরণে ইউক্রেন সরাসরি জড়িত। যদি এমনটাই হয়, তবে বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়ার প্রভাব কমে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এএইচ