ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

এটিএম বুথ প্রতারণা, মূলহোতা রুবেলসহ ৪ সদস্য গ্রেফতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৮ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

রুবেল রানা

রুবেল রানা

রাজধানীর আশুলিয়া এবং গাজীপুর থেকে এটিএম বুথ প্রতারক চক্রের মূলহোতা রুবেলসহ ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।  

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন হেডকোয়ার্টার্সে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার ফটিয়ামারী এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রুবেল রানা (২৬), ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু থানার শোড়াতলা এলাকার জব্বার মালিথার ছেলে তুষার ইসলাম (২৭), বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার অশোকসেন এলাকার জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা (৩৪) এবং পঞ্চগড়ের বোদা থানার দিগলগ্রাম এলাকার জহিরুল হকের ছেলে খায়রুল ইসলাম (৩১)। 

এদের মধ্যে তুষার, সবুজ ও খায়রুল আশুলিয়া থানা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুবেল রানা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে তার নামে ১টি প্লাষ্টিক কার্ডে পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড, ১টি কালো রংয়ের ওয়াকিটকি, ২টি আলাদা কালো অ্যান্টেনা, ৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড, ৭টি বিভিন্ন অপারেটরের সীম, ১টি আইফোন, পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ১টি বাংলাদেশ পুলিশ লেখা নীল রংয়ের নোট বুক উদ্ধার করা হয়। একপর্যায়ে গাজীপুরের কলমেশ্বর এলাকায় তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি পুলিশের বেল্ট, ১টি খেলনা পিস্তল, ১টি কম্পিউটার, দাখিল পরীক্ষার ২টি জাল সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানাধীন পশ্চিম জিরাবো এলাকায় ফাইজা স্টুডিওতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন ভুয়া আইডি সংক্রান্ত ফাইল সম্বলিত ২টি হার্ডডিস্ক সংযুক্ত সিপিইউসহ তুষার ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের আরও দুই সদস্য সবুজ মোল্লা ও খায়রুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

ডিসি আরো জানান, গার্মেন্টেস শ্রমিকরা মাসের নির্দিষ্ট দিনে এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন করতে যান। তখন ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদেরকে পুলিশের নকল আইডি কার্ড ও ওয়াকিটকি দেখাতো প্রতারক চক্রের সদস্যরা। পরে কৌশলে শ্রমিকদের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে সহায়তা করার কথা বলে পিন নাম্বার জেনে নিতো তারা। তারপর সুকৌশলে একই ব্যাংকের অচল কার্ড প্রবেশ করাতো এবং কার্ডটি এটিএম বুথে আটকে যাওয়ার পর শ্রমিকের এটিএম কার্ডটি কৌশলে পকেটে রেখে দ্রুত অন্য বুথে গিয়ে সব টাকা উত্তলোন করে নিতো।

এনএস//