বিশ্ব দৃষ্টি দিবস
আপনার চোখকে ভালোবাসুন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার
‘লাভ ইউর আইস’ অর্থাৎ ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে দিবসটি। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন করা হয়।
মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ। কিন্তু এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ উদাসীন। কী কারণে মানুষ অন্ধত্ব বরণ করছে, সে সম্পর্কে মানুষের স্বচ্ছ ধারণা থাকলে দেশে অন্ধত্বের হার অনেকাংশে হ্রাস পেতে পারে।
বিশ্বব্যাপী চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য গণসচেতনতা তৈরি, চক্ষুরোগ নির্মূলে প্রভাবিত করা, চোখের যত্ন নেওয়ার তথ্য জনগণের কাছাকাছি আনাই হলো বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের লক্ষ্য।
সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় চক্ষুবিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের হবে। দুপুর ১২টায় মায়োপিয়া আক্রান্তদের বিষয়ে সেমিনার হবে।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের তথ্য মতে, প্রতিদিন তিন হাজার রোগী চোখের বিভিন্ন সমস্যায় এখান থেকে চিকিৎসা নেয়। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক কোটি ৪৩ লাখ লোক দৃষ্টির ত্রুটিতে ভুগছে। দিন দিন রোগী বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলা থেকে স্মার্টফোন, ট্যাবে ভিডিও গেমসের আসক্তি শিশুদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ নানা ধরনের মানসিক সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এসবের জন্য খেলার মাঠ বন্ধ হয়ে যাওয়া, লেখাপড়ার বাড়তি চাপ, সূর্যের আলোয় শিশুর না আসা, দিগন্তে সবুজের দিকে তাকিয়ে না থাকাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, সারা বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ নিবারণযোগ্য অন্ধত্বের শিকার। এ ছাড়া দৃষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতি মিনিটে ১২ জন মানুষ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার প্রধান কারণ ছানিজনিত। মানুষ সচেতন হলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও অন্ধত্ব কমানো সম্ভব।
১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালে দেশে অন্ধত্ব ও ক্ষীণ দৃষ্টি নিয়ে পরিচালিত অন্য এক জরিপে অন্ধত্বের প্রধান কারণ হিসাবে ছানিপড়া রোগকে দায়ী করা হয়। দেশে বছরে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ অন্ধত্বজনিত ছানির রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এসএ/