ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
‘বাংলাদেশের সমৃদ্ধি বিশ্বের জন্য প্রেরণাদায়ক গল্প’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০০ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
বাংলাদেশের উত্থান ও সমৃদ্ধি বিশ্বের জন্য প্রেরণাদায়ক গল্প বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নের যাত্রা ভাগাভাগি করে চলছে। আমাদের জন্য এই চেতনা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি দুই দেশ এবং জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বকে অনুপ্রাণিত করবে।”
এ সময় যুব প্রতিনিধি দলকে রাষ্ট্রপতি প্যালেস থেকে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বাংলাদেশের তরুণরা যেভাবে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে, আমাদেরও উচিত ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের সোনালী যুগের সূচনা করা। এ জন্য একই আবেগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা। প্রত্যেক ভারতীয়ের হৃদয়ে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আমাদের গভীর সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা আমাদের মতই। বাংলাদেশেরও একটি বিশাল যুব জনসংখ্যা রয়েছে। উদ্ভাবক, সৃষ্টি, নির্মাতা এবং ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে উভয় দেশের গ্রিন এনার্জি, স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি-সমর্থিত পরিষেবার মতো অত্যাধুনিক ক্ষেত্রে যুবকদের নিয়োজিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত সর্বদা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। ভারত পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উভয় দেশ এই সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব দেয়।”
এ সময় দ্রৌপদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দিল্লি এবং লন্ডনে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারত এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। এই যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। উভয় দেশের তরুণরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এই সুযোগটির বিভিন্ন দিক, বৈচিত্র্য, বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং কলাসহ অনেক ক্ষেত্রকে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ব্যবহার করবেন।”
তিনি বলেন, “প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা। তারা শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারত ও বাংলাদেশের অনন্য সম্পর্কের রক্ষক। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের জন্য আগামী বছরগুলোতে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।”
এসএ/