শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন ভারত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
মেয়েদের ক্রিকেটে এশিয়ার বাকি দলগুলোর থেকে কাগজে কলমে ভারত যে ঢের এগিয়ে, তার প্রমাণ মিলল মাঠেও। এশিয়া কাপের ফাইনাল মঞ্চ একপেশে বানিয়ে দিল তারা। লঙ্কানদের অল্প রানে আটকে অনায়াসে ম্যাচ জিতে এশিয়ার সেরা হয়েছে হারমানপ্রিত কাউরের দল।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। আগে ব্যাটিং বেছে ভারতীয় বোলিংয়ে কাবু লঙ্কানরা করতে পারে স্রেফ ৬৫ রান। ৬৯ বল আগে ওই রান পেরিয়ে জিতেছে ভারতের মেয়েরা। দলকে জিতিয়ে ৬ চার, ৩ ছক্কায় ২৫ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন স্মৃতি।
এই নিয়ে মেয়েদের এশিয়া কাপে আট আসরে সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। এর আগের আসরে তাদেরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। আবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করল তারা।
৭০ রানের মামুলি লক্ষ্যে নেমে আগ্রাসী শুরু আনেন স্মৃতি মান্ধানা। শেফালি বর্মাকে একপাশে রেখে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। চতুর্থ ওভারে দলের ৩২ রানে ফিরে যান শেফালি। এরপর কাভিশা দিলহারির নিচু হওয়া বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হন আসরের সেরা ব্যাটার জেমাইমা রদ্রিগেজ।
তাতে ম্যাচে অবশ্য কোন প্রভাব ছিল না। স্মৃতি খেলতে থাকেন তার মতো। ক্রিজে এসেই বাউন্ডারি পেয়ে যাওয়া হারমানপ্রিতও নেননি সময়। পেশাদার মেজাজে কাজ সেরে নেয় ভারত।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে বিস্তর ভোগান্তিতে পড়ে লঙ্কানরা। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন। ১২ বলে ৬ রানের তার ভোগান্তি থামে রান আউটে।
পরের ওভারে হার্শিতা সামারাবিক্রমাকে তুলে নেন পেসার রেনুকা সিং। আনুশকা সঞ্জীবনী রান আউটে কাটা পড়ার পর হাসিনি পেরেরাও ফেরেন রেনুকার বলে। খানিক পর দিলহারিও শিকার হন রেনুকার।
ছন্দে থাকা নীলাক্ষী ডি সিলভা বোল্ড হয়ে যান অফ স্পিনার রাজশ্বরি গায়কোয়াড়ের বলে। ১৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা লঙ্কানরা কুলিয়ে উঠতে পারেনি।
অসাদি রানাসিঙ্গেও গায়কোয়াড়ের বলে বোল্ড হয়ে যান। বাঁহাতি স্পিনার স্নেহ রানা সুগন্ধিকা কুমারিকে তুলে নিলে ৪৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে আরও ২২ রান যোগ করেন ইনোকা রানেওয়ারা ও আচিনি কুলসুরিয়া। দশে নামা রানেওয়ারাই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন। তাতে ম্যাচের আয়ু কিছুটা লম্বা হয়েছে।
এমএম/