কমেছে পণ্য আমদানি, বন্দরে নেই জাহাজ জট
একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত : ১১:৪৯ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল এবং এলসি মার্জিন শতভাগে উন্নীত করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় কমেছে পণ্য আমদানি। তাই চট্টগ্রাম বন্দর নেই আগের মতো জাহাজের জট। এদিকে পদক্ষেপ ইতিবাচক মন্তব্য করে রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার কনটেইনার রয়েছে। কিন্তু ধারণ ক্ষমতা ৫৩ হাজার। অথচ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে বন্দর ইয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার বেশি কনটেইনারের স্তূপ জমে থাকতো।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “বর্তমানে জাহাজের সংখ্যা কিছুটা কম। কোনো জট নেই, জাহাজ আসলেই আমরা বার্দিং দিতে পারছি। কন্টেইনারের ধারণ ক্ষমতা বর্তমানে ৫৩ হাজার, সেই তুলনায় কন্টেইনার আছে ৩৫-৩৬ হাজারের মতো। সরকারের নানা পদক্ষেপ ও ডলারের রেট বেড়ে যাওয়া এসব কারণে আমদানি কমে যেতে পারে।”
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যান মতে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১ লাখ ১ হাজার ৪৯৩ টিউস বা কনটেইনারে আমদানি পণ্য এসেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমদানি হয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ কনটেইনার পণ্য।
আমদানি আরও কমতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জের ধরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারকে স্থিতিশীল করা এবং এলসি মার্জিন শতভাগে উন্নীত করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় আমদানি এখন নিম্নমুখী।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন, “বন্দর সক্ষমতা আছে, থাকবে। কিন্তু বিলাসী দ্রব্য যদি আমদানি হয় তাহলে আমাদের দেশের ডলার চলে যাবে। এটা না হয়ে যেটা প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন আমরা একটু মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হই। যেহেতু বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আভাস দেখা যাচ্ছে। এই দুর্ভিক্ষের আভাস থেকে যদি মুক্ত হতে চান তাহলে মিতব্যয়ী হওয়া ছাড়া , সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।”
দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যসহ আরও ২৭ ধরনের পণ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিন বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে বলা হয়। এসব কারণে কমে আসছে আমদানি, যা ইতিবাচক বলে ব্যবসায়ীরা মনে করেন। তবে রপ্তানি বাড়ানোরও তাগিদ দেন ব্যবসায়ীরা।
এএইচ