আশা বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে আমিরাতের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০১ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার
হার দিয়ে অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করতে হওয়া সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবার টুর্নামেন্টে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আজ মুখোমুখি হচ্ছে।
জিলংয়ের অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর দুইটায়। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে এ ম্যাচে জিততেই হবে দু’দলকে।
গত মাসেই টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আকাশে উড়ছিলো লঙ্কানরা। এ অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু আকাশে উড়তে থাকা শ্রীলঙ্কাকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে বিশ্ব ক্রিকেটের পুঁচকে দল নামিবিয়া।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই নামিবিয়ার কাছে ৫৫ রানে বিধ্বস্ত হয় শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের শুরুতে নামিবিয়াকে চাপে রাখলেও পরের দিকে পথ হারায় লঙ্কানরা। পরবর্তীতে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি শ্রীলংকা। শেষ পর্যন্ত বিশাল লজ্জা দিয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয় ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কাকে।
প্রথমে ব্যাট করা নামিবিয়ার ইনিংসে ১৪ ওভার পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিল শ্রীলঙ্কান বোলাররা। ঐসময় ৫ উইকেটে ৯১ রান ছিল নামিবিয়া। শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান তুলে শ্রীলঙ্কান বোলিংকে তছনছ করে দেন নামিবিয়ার দুই ব্যাটার ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক ও জেজে স্মিথ। এতে ১৬৩ রনের সংগ্রহ পায় নামিবিয়া।
জবাবে নামিবিয়ার বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার। ১ ওভার বাকী থাকতে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় তারা। এমন হারে হতাশ শ্রীলংকার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তবে ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া শানাকা। এশিয়া কাপ থেকে আত্মবিশ্বাস নিচ্ছেন তিনি। হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরুর পরও শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পড়েছিল শানাকার দল।
শানাকা বলেন, ‘এমন হার সত্যিই হতাশার। তবে এই ম্যাচ নিয়ে আমরা আর ভাবতে চাই। সামনের দিকে তাকাতে চাই। লড়াইয়ে ফেরার সামর্থ্য-সক্ষমতা এই দলের আছে। দলের সবাই নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে প্রস্তুত। আশা করছি, জয় দিয়েই আমরা নিজেদের রুপে ফিরবো।’
অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩ উইকেটে হারে আরব আমিরাত। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাটিং ভালো হয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাতের। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১১ রান তুলে। তারপরও এই পুঁজি নিয়ে দারুন লড়াই করেছে আরব আমিরাতের বোলাররা।
১৪ ওভার শেষে ৬ উইকেটে নেদারল্যান্ডসকে ৭৭ রান তুলতে দেয় আরব আমিরাতের বোলাররা। এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল আরব আমিরাত। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৬ ওভারে ৩৫ রান দরকার পড়ে নেদারল্যান্ডসের। কিন্তু আরব আমিরাতের আশা ভঙ্গ করে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে জয় তুলে নেয় ডাচরা।
প্রথম ম্যাচ হারলেও শ্রীলঙ্কাকে চমকে দিতে চায় আরব আমিরাত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামিবিয়ার জয়ে উজ্জীবিত আরব আমিরাত। দলের অধিনায়ক সিপি রিজওয়ান বলেন, ‘নামিবিয়া দারুন এক জয় পেয়েছে। তাদের জয়ে আমরা উজ্জীবিত হয়েছি। আমাদের মধ্যে সাহস জেগেছে, শ্রীলঙ্কাকে আমরাও হারাতে পারবো। তবে ব্যাটিং-বোলিংয়ে আরও ভালো করতে হবে আমাদের।’
টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একবার দেখা হয় শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতের। সেটি ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ১৪ রানে হারিয়েছিল আরব আমিরাতকে। আরব আমিরাতের বোলিংয়ে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৯ উইকেটে ১১৫ রান পর্যন্ত করে আরব আমিরাত।
শ্রীলঙ্কা দল : দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দানুশকা গুনাথিলাকা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, চারিথ আসালঙ্কা, হাসারাঙ্গা ডি সিলভা, ভানুকা রাজাপাকসে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, মাহেশ থিকশানা, জেফরি ভান্ডারসে, চামিকা করুণারত্নে , দুশমন্থ চামিরা, লাহিরু কুমারা, বিনুরা ফার্নান্দো এবং প্রমোদ মাদুশান।
সংযুক্ত আরব আমিরাত দল : সিপি রিজওয়ান (অধিনায়ক), ভিরিতইয়া অরবিন্দ, চিরাগ সুরি, মোহাম্মদ ওয়াসিম, বাসিল হামিদ, আরওয়ান লাকরা, জাওয়ার ফরিদ, কাশিফ দৌদ, কার্তিক মেইপান, আহমেদ রাজা, জহর খান, জুনায়েদ সিদ্দিকী, সাবির আলি, আলিসান শারাফু এবং আয়ান খান।
এএইচ