ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

গাইবান্ধায় নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত

‘দরকার হলে বার বার নির্বাচন বন্ধ করবেন’ (ভিডিও)

স্মৃতি মণ্ডল

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২ বুধবার

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধে বর্তমান ইসির সিদ্ধান্ত যথার্থ বলে মনে করছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা। একই সাথে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে পক্ষে তারা। আর এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক সিইসিরা। 

গাইবান্ধা ৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধের পর নির্বাচনের সার্বিক আলোচনা করতেই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসি কর্মকর্তাদের সাথে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বর্তমান কমিশনের বৈঠক।

বৈঠক চলে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিন সাবেক নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রউফ, কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ ও কে এম নুরুল হুদা।

গাইবান্ধা উপনির্বাচন বন্ধে ইসির সিদ্ধান্ততে স্বাগত জানান সাবেক তিন সিইসি। এনআইডি কার্যক্রমও ইসির অধীনে রাখার পক্ষে ঐক্যমত পোষণ করেন তারা। ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেন ।

সাবেক সিইসি আব্দুর রউফ বলেন, "ইলেকশন কমিশন ইন্ডিপেনডেন্ট বডি, তাদের চোখের সামনে ধরা পড়েছে ভোট দিতে পারছেনা, কিছু করতে পারছেনা, ইলেকশন বন্ধ করে দিয়েছে। যদি দরকার হয় আমরা বললাম বারে বারে বন্ধ করবেন, তবু জাতিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করবেন।" 

এদিকে সাবেক সিইসিকাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেন, "যতদূর পারা যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত, কারণ আমাদের দেশে ভোটের পরিবেশ ভালো থাকেনা। এখানে ভোট ডাকাতি হয়, কেন্দ্র দখল করে, একশ শতাংশ ভোট হয়, সেখানে স্বাভাবিক নির্বাচনের চেয়ে ইভিএম নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনের সংস্কৃতিটা পরিবর্তন করতে হবে।" 

সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, "ভোটার হতে আগ্রহ নেই, এনআইডির জন্যই মানুষের আগ্রহ আছে, এই এডভান্টেজ এখান থেকে সরানো উচিৎ নয়, এটা এখানে থাকাই উচিৎ। ইলেকশন কমিশনের এর ওপরে বিরাট বড় ডাটাবেজ আছে এবং সেটা সুরক্ষিত আছে, কাজেই এটা ভালো সিস্টেম হয়ে আছে।"

পরে বর্তমান সিইসি বলেন আইনে থাকলেও গাইবান্ধা নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়েছে কিনা তা জানতেই সাবেক সহকর্মীদের সাথে বৈঠক করেছে ইসি।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, "আমরা সুদ্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি নিইনি, আমরা আমাদের মতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তারপরেও এটা সঠিক নাও হতে পারে, কোর্টে গিয়ে কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করেন, রিপোর্টটা আসুক তারপরে দেখেন আমরা কোনো পদক্ষেপ নেই কি নেইনা।" 

সিইসি বলেন, শপথ মেনে অর্পিত দায়িত্ব পালনে ভবিষ্যতে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তনরা। 
 

এসবি/