১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রঙিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মো. জুনায়েত শেখ, জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:৫৮ এএম, ২০ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার
১৮৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পাঠশালাটি নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। দেড়শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার রাতে দেখা যায়, নববধূর সাজে সেজেছে জবি। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে দেখা যায় আনন্দ উচ্ছ্বাস।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপাচার্যকে বিএনসিসি কর্তৃক গার্ড অব অনারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে নানা উৎসব, আনন্দ র্যালী, চারুকলা প্রদর্শণী এবং বিভিন্ন ব্যান্ডদলের পরিবেশনায় মুখরিত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা যায়, ১৮৫৮ সালে ব্রাহ্মস্কুল, ১৮৭২ সালে রূপান্তরিত হয়ে জগন্নাথ স্কুল, ১৮৮৪ সালে এসে ঢাকা জগন্নাথ কলেজ নাম হয়।
নারী শিক্ষার বাধা দূর করতে ১৯৪২ সালে জগন্নাথ কলেজে সহশিক্ষা চালু হয়। ১৯৪৮ সালে তা বন্ধ হলেও ১৯৬৩ সালে পুনরায় সহশিক্ষা চালু হয়। ১৯৭৫ সালে স্নাতকোত্তর কোর্স এবং ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫’ এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ২০১৮ সালের শেষের দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদ, ৩৬টি বিভাগ এবং ২টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। ৬৭৮ জন শিক্ষক ও ১৪ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী আছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৪৫ জন এমফিল এবং ১৪১ জন পিএইচডি করছেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজকের দিনটি আমাদের জন্য সত্যই বড় আনন্দের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দিতে কাজ করছি। গবেষণা খাতে গতবারের চেয়ে বাজেট দ্বিগুণ করেছি। লাইব্রেরি, আইসিটিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সর্বক্ষেত্রে তারা রাখছে সফলতার ছাপ।
এএইচ