ডোপিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হলেন হালেপ!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার
সিমোনা হালেপ
বিশ্ব টেনিসে আবার ডোপিংয়ের ঘটনা। মারিয়া শারাপোভার পর এবার নির্বাসিত হলেন সিমোনা হালেপ। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর খেলোয়াড় এবং দু’বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী রোমানিজ সুন্দরীকে সাময়িকভাবে নির্বাসিত করেছে আন্তর্জাতিক টেনিস ইন্টিগ্রিটি সংস্থা।
ইউএস ওপেনের সময়েই তার ডোপ পরীক্ষা করা হয়। দু’টি নমুনার ফলাফলই পজিটিভ এসেছে।
শুক্রবার বিকেলে এই খবর প্রকাশিত হতেই বিস্ময় দেখা দিয়েছে টেনিস মহলে। এর আগে কোনও দিন কোনও বিতর্কে জড়াননি হালেপ। তিনি যে নিষিদ্ধ কোনও ওষুধ নেবেন- এটাও কেউই বিশ্বাসই করতে পারছেন না। জানা গেছে, তিনি রোক্সাডুস্টাট নামে একটি ওষুধ সেবন করেছেন।
২০১৬ সালের ৭ মার্চ সাংবাদিক বৈঠক করে ডোপিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নির্বাসিত হওয়ার খবর জানান শারাপোভা নিজেই। সেবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। তার নমুনায় মেলডোনিয়াম নামে নিষিদ্ধ ড্রাগের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। তাকেও সাময়িকভাবে নির্বাসিত করা হয়।
পরে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট শারাপোভার নির্বাসন ২৪ মাস থেকে কমিয়ে ১৫ মাস করে। পরে শারাপোভা খেলায় ফিরলেও পুরনো ছন্দে দেখা যায়নি তাকে। হালেপের কাছেও সুযোগ রয়েছে আবেদন করার।
নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেই এক বিবৃতি দিয়ে হালেপ লিখেছেন, “আজ থেকে আমার জীবনের কঠিনতম অধ্যায় শুরু। শুনেছি যে, আমার নমুনায় ড্রাগ পাওয়া গেছে। খুবই কম পরিমাণে সেই ড্রাগ থাকলেও আমি অত্যন্ত অবাক। গোটা জীবনে প্রতারণার কথা কখনওই আমার মাথায় আসেনি। এ ধরনের কাজ আমার মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।”
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সিমোনা আরও লেখেন, “আমি নিজেই দ্বিধাগ্রস্ত এবং প্রতারিত। ইচ্ছে করে যে এই ওষুধ নিইনি, সেটা প্রমাণ করার জন্য যতদূর যেতে হয় যাব। সত্যের ওপর আমার ভরসা আছে। ২৫ বছর ধরে টেনিস খেলে যে সম্মান অর্জন করেছি, তা এত সহজে মিলিয়ে যেতে দেব না।”
এনএস//