ডেঙ্গু আতঙ্কে জবি শিক্ষার্থীরা
মোঃ জুনায়েত শেখ, জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২২ রবিবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ ড্রেনে দূষিত পানি জমে রয়েছে। যা থেকে জন্ম নিচ্ছে ভয়ঙ্কর এডিস মশা। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের পূর্ব পাশের ড্রেন, গণিত বিভাগের পাশের ড্রেন, প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম ও উত্তর পাশের ড্রেন, বিজ্ঞান অনুষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরির মাঝের ড্রেন, বিবিএ ভবনের পূর্ব পাশের ড্রেনে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে রয়েছে।
শুধু ড্রেনই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, কলা ভবন এবং ছাত্রীদের কমনরুমসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্তূপ দেখা যায়। এছাড়াও অভাব রয়েছে পর্যাপ্ত ময়লা আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিনের।
ফলে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে সকল শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জুয়েল রানা একুশে টেলিভিশনকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন আগে একটা পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কোন কাজই হয়নি। এখন ডেঙ্গু হলে ঢাকায় আমাদের কে দেখবে, ভেবে ভয় লাগে “
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কমিটির সদস্য সচিব (এটেস্ট) কামাল হোসেন একুশে টেলিভিশনকে বলেন, “ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার পরিচ্ছন্নতা কমিটির কাজ নয়। এটা প্রকৌশল দপ্তরের কাজ। আমরা প্রধান প্রকৌশলীকে জানিয়েছি ড্রেন সংস্কার করার জন্য। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারি না।”
ড্রেন সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী একুশে টেলিভিশনকে বলেন, “আমাদের ড্রেনগুলোর অবস্থা নাজুক। খুব শিগগিরই ড্রেনগুলো সংস্কারের কাজে হাত দেব। শুধু সংস্কার করলেই হবে না, এগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার রাখাটাও জরুরি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, “আমরা সচেতনতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। যাতে ক্যাম্পাসের কোন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ও পানি জমে না থাকে, এর জন্য আমরা কাজ করছি।”
প্রসঙ্গত, গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন লেবু, ১১ জুন আইইআর বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাত আরা মিনি এবং ৭ জুলাই ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরীন বাবলী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এএইচ