নতুন বাজারে বাড়ছে পোশাক রপ্তানি (ভিডিও)
মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২২ রবিবার
অপ্রচলিত বা নতুন বাজারে বাড়ছে পোশাক রপ্তানি। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ। রপ্তানি সবচেয়ে বেশি হয়েছে ভারতে। কমেছে চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় ১০ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারের। আগের বছরের চেয়ে যা ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। তবে বেশি প্রবৃদ্ধি হয় অপ্রচলিত বাজারে।
বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ সময় রপ্তানি হয় প্রায় ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক।
এদিকে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে পোশাকখাতে মোট রপ্তানি আয়ে অপ্রচলিত বাজারের অংশীদারিত্ব ছিল ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের অর্থবছরের চেয়ে যা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, “আমরা এশিয়ায় মনোনিবেশ করার চেষ্টা করছি। এশিয়ায় প্রায় আড়াইশ’ কোটি লোক বাস করে। চায়না, ইন্ডিয়া, জাপান ও কোরিয়ার মার্কেটে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে আমাদের প্রবৃদ্ধি অনেক হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই যাতে দেশের অর্থনীতির গ্রোথ না কমে এর বিকল্প হিসেবে এশিয়ার মার্কেটগুলো আমরা আমলে নিয়েছি।”
গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে পাশ্ববর্তী বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার ভারতে। দেশটি রপ্তানি হয় ৩০৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক। রপ্তানি বেড়েছে ৬৬ শতাংশের বেশি। রপ্তানিতে উচ্চপ্রবৃদ্ধি হয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বাজারেও।
পশ্চিমা বিশ্বে মন্দা দেখা দিলেও নতুন বাজারে এর খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা।
শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, “ইউরোপ মার্কেটে আমাদের প্রবৃদ্ধি কমেছে। এই মার্কেটগুলো নিয়ে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। ফ্যাক্টরির বেতনভাতা তো আমাদের দিতে হয়। কাজ না থাকলে বেতনভাতা দেওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য মার্কেট ডাইভেনশন হলো আমাদের মেইন প্ল্যান।”
২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানি বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজিএমইএ’র। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই লক্ষ্য অর্জন ভারত ও চীনের মতো সম্ভাবনাময় বাজারগুলো ধরতে হবে।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “যে নতুনবাজারগুলো আমরা পেয়েছি, যে অর্ডারগুলো ডেলিভারি করা হচ্ছে সেগুলো যদি সাময়িক কোনো কারণে এসে থাকে আবার সেগুলো যেন হাত থেকে চলে না যায় এটা নিশ্চিত করা দরকার। আর এটা টিকিয়ে রাখাটাই হচ্ছে আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ।”
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোই বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের প্রচলিত বাজার। বাকিগুলো অপ্রচলিত বাজারের তালিকায়।
এএইচ