একসঙ্গে ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল ভারত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২২ রবিবার
ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদারে কক্ষপথে একসঙ্গে ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল ভারত। এসব স্যাটেলাইট নিয়ে শনিবার মধ্যরাতে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ভারতের এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভারী রকেটটি। এরইমধ্যে পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে স্যাটেলাইট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে দেশটির।
ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে একটি এলভিএম-৩ রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। ব্রিটেনের ৩৬টি স্যাটেলাইট নিয়ে যাত্রা করা রকেটটির বহন ক্ষমতা ১০ টন। তবে রকেটটি ৬ টন ওজন নিয়ে মহাকাশে যাত্রা করে।
ওয়ানওয়েব নামে একটি ভারতীয় কোম্পানি এসব স্যাটেলাইট তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। কোম্পানিটির সঙ্গে ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান নিউ স্পেস ইন্ডিয়ার চুক্তির আওতায় সে দেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণে এলভিএম-৩ রকেট ব্যবহার করা হলো।
ভারতের টেলিকম অপারেটর এয়ারটেলের প্রতিষ্ঠাতা সুনীল ভারতী মিত্তালই এই ওয়ানওয়েবের চেয়ারম্যান। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওয়ানওয়েবের ৬টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে এ উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখা হয়। ভারত সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে যথেষ্ট সহায়তা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০১৭ সালে ৩১টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ভারত। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় স্যাটেলাইটও ছিল। সেবার ইসরোর সঙ্গে নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের চুক্তির আওতায় স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
এদিকে, চন্দ্রযান-৩ নামে আরও একটি রকেট উৎক্ষেপণের কাজও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো)।
ইসরোর চেয়ারম্যান ড. এস সোমানাথ বলেন, ‘চন্দ্রযান-৩ প্রায় প্রস্তুত। চূড়ান্ত পর্যায়ে একত্রীকরণের কাজ চলছে এবং পরীক্ষা প্রায় সম্পূর্ণ। এখনও আরও কিছু পরীক্ষা বাকি আছে। আমরা সেই পরীক্ষাগুলো একটু পরে করতে চাই। এই রকেটটি উৎক্ষেপণের জন্য দুটি স্লট উপলব্ধ ছিল, একটি ফেব্রুয়ারিতে এবং আরও একটি জুনে। আমরা উৎক্ষেপণের জন্য ২০২৩ সালের জুন মাসের স্লটটি নিতে চাই।’ সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস//