ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত সিত্রাং

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৩ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪৫ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে সাগর এখনো উত্তাল থাকায় দেশের তিন সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে বিভিন্ন এলাকা। চার জেলায় মারা গেছে ১০ জন। 

মধ্যরাতে ভোলার পাশ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। স্থলভাগ দিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সকালে এটি ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সিত্রাং।

এর আগে, সিত্রাংয়ের প্রভাব এবং জোয়ারে তলিয়ে যায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা। চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরীর নিচু এলাকার বাসিন্দারা। সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা এবং বাঁশখালীর বিস্তূর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে যায় এসব এলাকার অনেক গাছও।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া থাকায় মোংলা, পায়রা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত উপকূলীয় ১৫ জেলায় প্রায় ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়। 

গাছচাপায় ও নৌকাডুবিতে ভোলায় ২, বরগুনায় ১ ও কুমিল্লায় ৩ ও সিরাজগঞ্জে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এএইচ