সিত্রাং আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাগেরহাটবাসীর
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার
আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাগেরহাটবাসীর। জানমালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় জেলার বেশিরভাগ মানুষই জেগেছিলেন সারারাত। জেলার ৩৪৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন ৭৩ হাজার ২০০ মানুষ। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে আবহাওয়া রোদ্রউজ্জল থাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
এদিকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাসে জেলায় বিপুল পরিমাণ গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকের বসতবাড়ি।
শরণখোলা উপজেলা সদরের ফায়েল খায়ের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে থাকা জিলবুনিয়া গ্রামের অনিল ঋষি বলেন, “ঘরের অবস্থা ভাল ছিল না। তাই রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। ছেলেমেয়ে নিয়ে শুধু মুড়ি ও চানাচুর খেয়ে রাত কাটিয়েছি। শুনেছিলাম আশ্রায়ণ কেন্দ্রে ভালো খাবার দেয়া হবে, কিছুই দেওয়া হয়নি।”
আবুল হোসেন হাওলাদার নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, “বউ-বাচ্চা নিয়ে এসেছিলাম। সারারাত ঘুমাতে পারিনি। খাবার খেয়েছি না খাওয়ার মত। তারপরও সরকারি জায়গায় নিরাপদে থাকতে পেরেছি এটা কম কিসে।”
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, শরণখোলা উপজেলার সাউথখাল, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও ধানসাগর ইউনিয়নে বিপুল পরিমাণ গাছ উপড়ে পড়েছ। বেশকিছু কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা সব মিলিয়ে চেষ্টা করেছি মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার। উপজেলার কোথাও কোন মানুষের ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, জেলার ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৩ হাজার ২০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে আমরা কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
এএইচ