ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

বিপর্যয়ের শঙ্কা নেই রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৬ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা-ব্যবস্থা থাকছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে বসছে ভিভিইআর ১২শ’ মডেলের রিঅ্যাক্টর। তেজস্ক্রীয়তা নিয়ন্ত্রণ করবে কোর-ক্যাচার প্রযুক্তি। তাই কেন্দ্রটিতে দুর্ঘটনার কোনো শঙ্কা নেই বলছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা। 

পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি অতিসংবেদনশীল স্থাপনা। তবে ঝুঁকি থাকলেও একবার বিনিয়োগে কম খরচে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় দীর্ঘদিন। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গড়ে তুলেছে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ রাশিয়ান ভিভিইআর-১২শ’ মডেলে। তাই জাপানের ফুকুশিমা বা তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেনরোবিল দুর্ঘটনার মতো বিপর্যয়ের শঙ্কা নেই। 

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, “২০ কিলোমিটারের মধ্যে অটো মেটেটেড মনিটরিং স্টেশন থাকবে ২৩টি, লোকাল অ্যানাউন্সিং থাকবে ৪৫টি। সুতরাং মানুষ সবসময় ওই মনিটরিং স্টেশন থেকে দেখতে পারবে পাওয়ার বেল্ট শুরু হওয়ার আগে লেবেল কত ছিল, আর পাওয়ার বেল্ট পড়ে যাওয়ার সময় কত।”

কোর-ক্যাচার নামে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনা হয়েছে, এতে তেজস্ক্রীয়তা ছড়াবে না বলে জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, “ন্যাশনাল সিকিউরিটির সঙ্গে এই প্রকল্প অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। পৃথিবীতে যতগুলো এই ধরনের প্রকল্প হয়েছে সবচেয়ে বেশি সাবধানতা, সবচেয়ে বেশি যত্ন নিয়ে এই প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাই হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য। যার জন্য কোর-ক্যাচার যুক্ত করা হয়েছে।”

তেজস্ক্রীয়তা ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি না থাকায় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩শ’ মিটার দূরেই বসবাস করতে পারবে সাধারণ মানুষ। 

যে কোনো জাতি র সভ্যতার শিখড়ে পৌঁছাতে হলে বিদ্যুতের বিকল্প নেই। আর সেটি যদি পারমানবিক বিদ্যুৎ হয় তাহলে তা আরও সম্মানের, আরও গৌরবের। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোদমে উৎপাদনে গেলে সমৃদ্ধশালী তথা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

এএইচ