ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চা বিক্রি করে তরুণের কোটি টাকা উপার্জন (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১২:২৪ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২২ বুধবার

বলা হয়- ইচ্ছে থাকলে-উপায় হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে যখন হাজারো তরুণ চাকরি সন্ধানে হন্য হয়ে ঘুরছেন। তখন চায়ের দোকান দিয়ে কোটি টাকা উপার্জন করেছেন উদ্যোমী এক  তরুণ। পড়াশোনা গণ্ডিও ততটা নয়। 

যেন বাঙলা সিনেমার চিরায়ত গল্প। ছোট্ট থেকে-ই দরাজ গলা গানের। নিদারুণ কষ্টের সংসার। দু’মুঠো ভাত যোগাড় করা কষ্টকর ছিল হান্নানের। 

‘মুখে হাসি, বুকে বল’- বলতে গেলে এই পুঁজি নিয়েই চা বেচার পেশায় আসা। 

চা-ওয়ালার তকমা কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে ঝেড়ে ফেলতে বদলে ফেলেন ব্যবসার ধরণ ও কৌশল। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি পোষাক আর হাসিমুখে অসাধারণ চায়ের পরিবেশন মুগ্ধ করলেন মানুষকে। 

ব্যবসায়ে সফল উদ্যোক্তা মোহাম্মদ হান্নান বলেন, “তুই তুঙ্গার করে বলতে শুরু করে দেয়, কেননা এটা তো চায়ের দোকান। আকাশ-বাতাল পার্থক্য। তুমি থেকে তুই চলে আসছে। তবে ভালো ব্যবহারের ফলে সেটারও পরিবর্তন ঘটেছে।”

এখন রাজধানীর পান্থপথ ক্রসিংয়ে হান্নানের টি-স্টলে চা ভক্তদের লাইন লেগেই থাকে সারাক্ষণ।

ক্রেতারা বললেন, “বলতে গেলে ওর হাতে যাদু আছে,  খুব ভালো মানের চা খাওয়ায়। মন খারাপ থাকলে ওর চা খেলে মন ভালো হয়ে যায়।”

গেল দশ বছরে জমে উঠেছে ব্যবসা। আয় করেছেন কম করে হলেও কোটি টাকা। ফ্ল্যাট বাসায় থেকে সম্মানের সাথে সামলেছেন বড় পরিবারকেও। 

মোহাম্মদ হান্নান বলেন, “এই শহরে মোটামুটিভাবে চলতে গেলে কম হলেও ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাগে। পনের বছর আগে থেকে আমি তো কোটি টাকা ঠিকই অর্জন করেছি। কিন্তু এগুলো সংসারে ব্যয় হয়ে গেছে।”

নিজে পড়ার সুযোগ না পেলেও স্বজনদের ঠিকই বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পাড় করার সুযোগ তৈরি করেছেন। 

এই সফল উদ্যেক্তা বলেন, “ছোটভাই এমবিএ করেছে, বড়ভাইর মেয়েদের পড়াশুনা করিয়েছি। আমার মিসেস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা। এগুলো সব আমার হাতেই করা।”

সবারই উচিত হাতে যা আছে, তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া।

হান্নান বলেন, “সে যদি প্রকৃত লেখাপড়া করে থাকে, তাহলে সে ব্রেক খাবে না। তার দ্বারা যে কোনো কাজ সম্ভব। আমার দেশের মানুষ যদি জ্ঞানী হয়ে থাকে তাহলে আমার দিকে তাকান। তাতে অনেক কিছু পাওয়া যাবে।

সুযোগ কেউ-কাউকে দেয় না। সম্মানের সাথে বাঁচতে বেশি কিছুর প্রয়োজনও নেই। সুযোগ যেটা আছে, সেটার সর্বোচ্চ উপযোগ করে এগিয়ে গিয়ে সফল হবার দৃষ্টান্ত এই হান্নান। 

এএইচ