বিআইসিএম-এ ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৫ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২২ বুধবার
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে “A Comparison of Islamic and Conventional Banks' Green Banking Initiatives and their Benefits” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএম এর সহকারী অধ্যাপক কাশফিয়া শারমিন।
ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শাহ মোঃ আহসান হাবীব, অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট এবং ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অধ্যাপক, ব্যাংকিং এবং বীমা বিভাগ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়। জনাব সাফায়েদুজ্জামান খান, সহকারী অধ্যাপক, বিআইসিএম সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।
এই গবেষণাপত্রের মূল লক্ষ্য হলো, ব্যাংকের পরিবেশ বান্ধব কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে এমন প্যারামিটারসমূহ খুঁজে বেরা করা এবং তা বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকগুলো কী ধরনের সুবিধা ভোগ করবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় যে, গ্রীণ ব্যাংকিং বাস্তবায়নের সুবিধাসমূহ কনভেনশনাল ব্যাংকের চেয়ে ইসলামী ব্যাংকগুলো বেশি ভোগ করে থাকে। যদিও গ্রীণ ব্যাংকিং কম্প্লায়েন্স (বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আরোপিত) এর ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকগুলো পিছিয়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত আরও বেশি ইন্টারেক্টিভ গ্রীণ ব্যাংকিং পণ্য এবং লোন স্কিমগুলি চালু করা, যা দেশের শিল্প খাতকে আরো বেশি বিকশিত করতে সহায়ক হবে।
আলোচনায় অধ্যাপক ড. শাহ মোঃ আহসান হাবীব গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের সাথে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, গ্রীণ ব্যাংকিং এর সুবিধা স্বরূপ প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হচ্ছে না-কি লাভজনক প্রতিষ্ঠান বলেই গ্রীণ ব্যাংকিং এর চর্চা করছে তা এখন বিবেচনা করার বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম প্রতিপালনের জন্যই মূলত গ্রীণ ব্যাংকিং এর চর্চাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এই গবেষণাপত্রের নীতি সুপারিশপত্র তৈরি করার সময় সেগুলো বিবেচনার প্রস্তাবও রাখেন অধ্যাপক হাবীব।
অন্যদিকে, অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রীণ ব্যাংকিং কর্মপদ্ধতিকে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং কার্যক্রম ও বাইরের গ্রহণকৃত প্রকল্প এই ২টি ভাগে ভাগ করে পার্থক্য দেখা যেতে পারে। সেই সাথে বোর্ডে নারী সদস্য থাকার কারণে কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় কি-না সেটিও দেখার জন্য সুপারিশ করেন।