ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

যত্রতত্র বাস পার্কিং, আইন মানছে না কেউ (ভিডিও)

সাইদুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশন 

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৯:৫১ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২২ বুধবার

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের প্রধান সড়কসহ আশপাশের সড়কে পার্কিং করা হচ্ছে বাস। এক লাইনে টার্মিনালে প্রবেশের কথা থাকলেও মানছেন না কেউ। এতে রাস্তায় তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। তবে রাজধানী থেকে দ্রুত বাসস্ট্যান্ড সরানোর কথা জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। 

রাজধানীর মহাখালি বাসস্ট্যান্ডের ভেতরের চেয়ে বাহিরেই গাড়ি থাকে বেশি। বাসস্ট্যান্ডের সামনের সড়কে দুই-তিন লেনে গাড়ি রাখা হয়। আর পুরো রাস্তাজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে অসংখ্য যানবাহন। এজন্য অজুহাতের শেষ নেই চালকদের। 

তারা বলছেন, (বাস) কর্তৃপক্ষ বাস রেখে যায় রাস্তায়। লাইনের সুপারভাইজার নিজেই রেখে গেছেন। 

রাস্তার ইউটার্নের মুখে যেখানে গাড়ি রাখা নিষেধ, ঠিক এমন জায়গায় রাখা হয় গাড়ি। কেন এখানে রাখা হয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে চালকরা দোষ চাপালেন পুলিশের ওপর। 

তাদের অভিযোগ, পুলিশ সার্জেন্টরাই রাস্তায় গাড়ি রাখতে দেন। 

চালকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। আরেকজন ট্রাফিক সার্জেন্ট জানান, একটু পরই সব গাড়ি চলে যাবে। 

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় পার্কিং করা বাস সরানোর প্রতিযোগিতা।কিন্তু সেসব যানবাহন চলে গেলেও সেখানে আবার রাখা হয় নতুন গাড়ি। 

‘পার্কিং নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ড থাকার পরও কেন গাড়ি রাখা হলো, জানতে চাইলে একজন চালক, সবাই রাখে তাই তিনিও রেখেছেন। 
“আইন আছে, লেখাও আছে, কিন্তু সবাই রাখে, এই কারণে আমরাও রাখি,’ বলেন এই চালক।

বাসটার্মনালের পশ্চিম পাশের রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে দূরপাল্লার যাত্রী ডাকা হয়। দিনভর এমন চিত্র থাকলেও একশে টেলিভিশেনের ক্যামেরা দেখলেই শুরু হয় পুলিশের তৎপরতা। 

মহাখালি স্ট্যান্ডের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বাইরে নাবিস্কো মোড়েও রাখা হয় গাড়ি। এজন্য পুলিশকে টাকাও দিতে হয় বলে জানান চালকেরা, যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। 

একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, নাবিস্কো মোড়ে রাখতে হলে গাড়িপ্রতি ৫০ টাকা করে নেন ট্রাফিক পলিশের সদস্যরা। 

তবে রাজধানীর যানজট কমাতে মহাখালি বাসস্ট্যান্ড সরানোর কথা জানান উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা। 

তিনি বলেন, “মহাখালী, গাবতলী এবং সায়দাবাদ- এই তিনটি বাসস্ট্যান্ডকে ঢাকাই বাইরে শিফট করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ঘাটারচর, হেমায়েতপুর, আবদুল্লাহপুর, কাঁচপুরে ইতিমধ্যে জায়গা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বাস টার্মিনালগুলো সরাতে। অর্থাৎ আন্তঃজেলা বাস ঢাকায় ঢোকার দরকার হবে না।”

এই আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়ন চান নগরবাসী।

এএইচএস