ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নেপালে ‘মায়ের গলার হার’ ছুঁলেন চট্টগ্রামের বাবর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৪ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৩৫ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

নেপালের ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার অন্যতম পর্বত হলো ‘আমা দাব্লাম’, যার অর্থ ‘মায়ের গলার হার’। ঢালু দেয়ালের জন্য অনেকেই একে ডাকেন 'হিমালয়ের ম্যাটাহর্ন' নামে। এই পর্বতের ছবি দেখা যায় নেপালের ব্যাংক নোটেও। বাংলাদেশ থেকে এর আগে এই পর্বতে অভিযানের চেষ্টা হলেও সফলতা আসেনি।

তবে খরা কেটে গেছে গত ২৫ অক্টোবর। নেপালের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৯টায় আমা দাব্লামে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজ পতাকা ওড়ালেন তরুণ পর্বতারোহী মো. বাবর আলী। দেশের পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

চট্টগ্রামের বাবর পেশায় ডাক্তার। নিজেকে পাহাড়প্রেমী পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স। বর্তমানে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।

ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স জানিয়েছে, ২০১৪ সালে ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত নেপালে এক হিমালয় অভিযানে বাবর সামিট করেন পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত। হিমালয়ে এভাবেই তার পথচলা শুরু। এরপর তার ক্লাবের একটি দল সামিট করে ভারতের ২০ হাজার ফুট উচ্চতার মাউন্ট ইয়ানাম।

ক্লাবটি জানায়, বাবর আলী বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করেন ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে। ২০১৪ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছরই করেছেন একাধিক হিমালয় অভিযান। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত করছেন ক্রস কান্ট্রি সাইক্লিং ও কায়াকিং।

নেপালের ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার অন্যতম পর্বত ‘আমা দাব্লাম’ এর পথে বাংলাদেশের বাবর।

গত ৯ অক্টোবর বাবর পাড়ি দেন নেপালের পথে। ১১ অক্টোবর প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আবহাওয়া। কাঠমান্ডু থেকে নিয়মিত উড়োজাহাজটি বন্ধ হয়ে যায় ওই সময়। তাই পরদিন সড়কে যাত্রা করেন বেসক্যাম্পের পথে। কিছু পথ গাড়িতে ও বাকিটা হেঁটে ১৯ অক্টোবর পৌঁছে যান আমা দাব্লাম বেসক্যাম্পে। এক দিন বিশ্রাম নিয়ে ঘুরে আসেন ক্যাম্প-১ থেকে।

২৩ অক্টোবর ভোরে বেসক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করে আবার উঠেন ক্যাম্প-১ এ। পরদিন ওঠে যান ক্যাম্প-২ এ। ২৫ অক্টোবর মধ্যরাতে শুরু হয় চূড়ান্ত চেষ্টা। ভোরে তিনি পর্বতের শীর্ষে পৌঁছান। ২৬ অক্টোবর বিকেলে নেমে আসেন বেসক্যাম্পে।

পুরো পথে তার সঙ্গে ছিলেন পর্বতারোহী বন্ধু ও গাইড বিরে তামাং। ফোনে তার সঙ্গে কথা বলে পর্বতজয়ের খবর নিশ্চিত করেন ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফরহান জামান। বাবর আলীর নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল তারই ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স।
কেআই//