ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

দেশে এডিস মশা ছিল না, ফ্লাইটে আসতে পারে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৩:০৮ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২২ রবিবার

আমাদের দেশে এডিস মশা ছিল না, ডেঙ্গু রোগ ছিল না। এটা-তো বাইরের দেশ থেকে এসেছে। হয়ত ফ্লাইটে করে দুটি মশা দেশে এসে বংশ বিস্তার করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 

রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য চলতি বছরের ৫ম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তুলনাটা কেন দিই? কারণ আমাদের এখানে-তো এডিস মশা ছিল না, ডেঙ্গু রোগ ছিল না। এটা বাইরে থেকে এসেছে। দুটি মশা এখানে এসে বংশ বিস্তার করেছে।  

এখন যে ডেঙ্গু হচ্ছে এটা নির্মূল করার পথ কি আপনাদের কাছে নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি বলেই অবস্থা অন্য দেশের তুলনায় ভালো। এটা ইউরোপে ছিল। ফ্রান্সে দেখা গেছে, এক দিনে ৭-৮ হাজার লোক মারা গেছে৷ এ রকম তথ্য আছে আমাদের কাছে। 

২০১৯ সালের আগে দেশে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা পরিলক্ষিত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব বেশি ছিল না। সে অভিজ্ঞতা আমরা সংগ্রহ করেছি এবং কী কী খাতে আমাদের ইন্টারভেনশন দরকার বা আউটপুট দরকার সে বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে ২০২০ সালে আমরা মোটামুটি সফলতার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলাম।

তিনি বলেন, সাধারণসেপ্টেম্বরের পর থেকে ডেঙ্গু নিম্নগামী হয় এটা আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রতিটি দেশে ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এই রোগের একটা সম্পৃক্ততা আমরা দেখেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ বছর অক্টোবর মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও এটা নিম্নগামী না।

মশার জন্য কোনও বর্ডার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবস্থার থেকে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অনেকের অবস্থা এর থেকে অনেক ভয়াবহ। ভারতে গতকাল পর্যন্ত প্রায় দুই লাখের মতো আক্রান্ত। বিশেষ করে কলকাতায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি।

এসবি/