গুজরাটে ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে নিহত ৯১
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২১ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৮:২৪ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
ভারতের গুজরাটে মোরবি জেলার মচ্ছু নদীতে ক্যাবল ব্রিজ ভেঙে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনও ১০০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ ভেঙে পড়ে ব্রিটিশ আমলের তৈরি শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতুটি। ঘটনা তদন্তে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্কারের পর দিনকয়েক আগেই চালু করা হয়েছিল গুজরাটের ঐতিহাসিক ঝুলন্ত সেতুটি। গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝুলন্ত সেতুটিতে দুর্ঘটনার সময় পাঁচ শতাধিক লোক ছিল।
সেতুটি ভেঙে পড়ার পর প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষকে সাঁতার কাটতে দেখা গেছে। আবার অনেক মানুষকে সেতুর রেলিং ধরে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। সেতুর ভাঙা অংশটি ধরে কোনওরকমে প্রাণটুকু বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন অনেকে। যাদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে।
দেশটির পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
দুর্ঘটনায় শিশু ও নারীদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কা করছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। জানা গেছে, শুরুতে স্থানীয়রাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
গুজরাট পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আশিষ ভাটিয়া বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেক মানুষকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্তমানে গুজরাট সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যেই ঘটে গেলো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দুই লাখ রুপি ও প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, অত্যাধিক ওজন নিতে না পারায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এছাড়া ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যদিও কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামতের পর জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়। খুলে দেওয়ার ছ’দিনের মাথাতেই এই বিপর্যয় ঘটল।
সেতুটি খুলে দেওয়ার আনন্দে কেউ কেউ ছোটাছুটি করছেন, আবার কেউ লাফালাফিও করছেন। ফলে দুলছিল সেতুটি। এমন একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
মর্মান্তিক এ ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে দায়ী করেছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস।
এএইচ