চোখে ঘন ঘন আঞ্জনি হয়? কোন টোটকায় সমস্যা কমবে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
আঞ্জনি তেমন বড় কোনও সমস্যা না হলেও, দীর্ঘ দিন ফেলে রাখলে এটি বড় আকার নিতে পারে। তাতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। কিছু ঘরোয়া উপায়েই কমিয়ে ফেলা যায় এই সমস্যা।
আঞ্জনি এমন কিছু বিরল সমস্যা নয়। চোখের পাতায় ছোট ছোট ফোঁড়া বা গোটা বেরোলে, তাকেই আঞ্জনি বলে। বছরের বিভিন্ন সময়ে অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। চোখে নোংরা জমা বা পরিষ্কার করে চোখ না ধোয়া আঞ্জনির কারণ হিসাবে ধরে নেওয়া হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘স্টাই বা হরডিয়োলাম’। চোখে অনেক ক্ষুদ্র তেল গ্রন্থি আছে। বিশেষ করে চোখের পাতার উপর। সেই গ্রন্থিগুলিতে মৃত কোষ, ময়লা, তেল জমে ওই মুখগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এর থেকেই আঞ্জনির মতো সমস্যা হয়।
আঞ্জনি তেমন বড় কোনও সমস্যা না হলেও, দীর্ঘ দিন ফেলে রাখলে এটি বড় আকার নিতে পারে। তাতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই আঞ্জনি হলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
এই সমস্যা প্রায়ই আমাদের ভোগায়। কিন্তু কী ভাবে আঞ্জনির সমস্যা কমাবেন? তার জন্য কি প্রচুর ওষুধ দরকার? মোটেই না। কিছু ঘরোয়া উপায়েই কমিয়ে ফেলা যায় এই সমস্যা। রইল তার হদিস।
১) নরম কাপড় বা রুমাল দিয়ে খুব হালকা হাতে গরম সেঁক দিন। বেশি চাপ দিয়ে সেঁক দেবেন না। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। গ্রন্থির মুখে জমে থাকা তেল শুকিয়ে যাবে। ব্যথাও দ্রুত কমবে।
২) চোখে আঞ্জনি হলে ভুলেও মেক আপ করবেন না। এতে অন্য চোখেও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ বাড়ে। মেক আপ করলে তার থেকেও সংক্রমণ বাড়তে পারে।
৩) এই সময়ে চোখে কোনও ধরনের লেন্স না পরাই ভাল। এতে সমস্যা বাড়তে পারে।
৪) চায়ে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে। লিকার চায়ের গরম টিব্যাগ দিয়েও চোখে ভাপ দিতে পারেন। এতে চোখের ফোলা ভাব কমবে। সংক্রমণও কমবে।
৫) চোখের পাতায় খাঁটি ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে পারেন। তবে ক্যাস্টর অয়েল লাগানোর আগে ভাল করে দেখে নিন তেলটির মেয়াদ কবে উত্তীর্ণ হচ্ছে। যদি মেয়াদের মধ্যে থাকে, তা হলে ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণের আশঙ্কা এতে কমে।
সূত্র: আনন্দবাজার
এসবি/