সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৩ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২২ বুধবার
নানা আয়োজনে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কৃষি শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাঁকজমক আয়োজনে এ উৎসব পালিত হয়েছে।
আজ সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (অ.দা.) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান। এসময় বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়। এরপর ব্যান্ডের তালে তালে শুরু হয় আনন্দ র্যালি।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে শহরতলীর টিলাগড় ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফেরত আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে সেই র্যালিতে অংশ নেয়। র্যালি শেষে টিএসসির আঙ্গিনায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ভাইস চ্যান্সেলর (অ.দা.) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান এসময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব, ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রাশেদ হাসনাত, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহ আলমগীর, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান এবং প্রক্টর (অ.দা.) ড. মো. তরিকুল ইসলাম রানা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে ভাইস চ্যান্সেলরের বাণী প্রচার করা হয়। বাণীতে তিনি বলেন, “সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। আধুনিক চাষাবাদের পাশাপাশি হাওর বাওর নিয়ে শিক্ষকদের সাথে তারাও গবেষণায় যুক্ত হয়েছে। লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি, কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এই প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভলগ্নে সামর্থ্য ও সদিচ্ছাকে সুসংহত করে দেশকে এগিয়ে নিতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান। এদিকে বিকেলে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ। কৃষ্ণচূড়ার শিল্পীরা নেচে গেয়ে পুরো ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখেন। রাত ৮টায় মঞ্চে উঠে অন্যতম দেশসেরা ব্যান্ডদল অ্যাশেজ। অ্যাশেজের কনসার্ট উপভোগ করতে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে।
কেআই//