ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় দ. আফ্রিকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩১ এএম, ৩ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা।  নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই সেমির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে প্রোটিয়ারা। আর এ ম্যাচ হারলেই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হবে পাকিস্তানের।

সেমিফাইনালে খেলার আশা এখনও যদি-কিন্তুর উপর নির্ভর করছে পাকিস্তানের। এজন্য অন্যান্য দলের ফলাফলে দিকে তাকিয়ে থাকার সাথে শেষ দুই রাউন্ডের ম্যাচে জিততেই হবে পাকিস্তানকে।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় শুরু হবে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি।

৩ খেলা শেষে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে পাকিস্তান।

পাকিস্তানকে হারালে দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট হবে ৭। তাতে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে তারা। পাকিস্তানের পর নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলে অনায়াসেই সেমি নিশ্চিত করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

কিন্তু পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলা নির্ভর করছে পরের ম্যাচগুলোর ফলাফলের উপর। এজন্য শেষ দুই রাউন্ডের ম্যাচে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েকে হিসেবের মারপ্যাচে পড়ে যদি-কিন্তুতে অন্তত ১টি করে ম্যাচ হারতে হবে।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলে সুপার টুয়েলভ থেকেই বিদায় নিশ্চিত হবে পাকিস্তানের। 

এসব যদি-কিন্তু’র হিসাবকে পাশে রেখেই নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না পাকিস্তান। দলের মিডল-অর্ডার ব্যাটার শান মাসুদ বলেন, ‘আমাদের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা অনেক হিসাবের উপর নির্ভর করছে। সেসব হিসাবের সাথে বড় চ্যালেঞ্জ শেষ দুই ম্যাচে জিততেই হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা শক্তিশালী দল। আগের ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছে তারা। এখনও কোন ম্যাচ হারেনি তারা। আমাদের জিততে সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে।’

এদিকে, সেমিফাইনাল মাথায় রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। দলের ওপেনার কুইন্ট ডি কক বলেন, ‘আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় দল সদস্যদের দারুন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদি। তবে কাজটি সহজ হবে না। পাকিস্তানও জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে আছে। আমরা যেকোন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এবং জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাই।’

ভারতের কাছে ৪ উইকেটে হার দিয়ে সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু করে পাকিস্তান। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে ১ রানে হেরে যায় তারা। দুই ম্যাচ হারের পর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান।

অপরদিকে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। পরের ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে তারা। তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ বারের মোকাবেলায় ১১ বার জিতেছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১০টি।

তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনবার দেখা হয়েছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার। তিনবারই জিতেছে পাকিস্তান।

গেল বছরের এপ্রিলে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।

পাকিস্তান দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আসিফ আলি, হায়দার আলি, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শান মাসুদ ও ফখর জামান।

দক্ষিণ আফ্রিকা দল : তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রেজা হেনডিক্স, হেনরিচ ক্লাসেন, কেশভ মহারাজ, আইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিদি, এনরিচ নর্টি, মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা, রিলি রৌসু, ওয়েইন পারনেল, তাবরাইজ শামসি ও ট্রিস্টান স্টাবস।

এএইচ