ফুটপাত-পার্কিং-বাজার মিলেমিশে একাকার, কারওয়ানবাজারে ভোগান্তি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১২:৩৮ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২২ শুক্রবার
ফুটপাতে হাঁটাই দায়। মূল রাস্তার বেশিরভাগ অংশও অবৈধ দোকানপাট, ভ্যান-রিকশা আর গাড়ির দখলে। কাওরান বাজারে প্রবেশের রাস্তাটিতে ঢুকলেই পড়তে হয় দুর্ভোগে। দু’শো বছরের পুরনো এ বাজারে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করেন হাজারো মানুষ। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অনেক অফিস রয়েছে রাস্তাটির দু’পাশে। তবুও দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেই।
প্রতিদিনই রাস্তা দখল করে চলছে এমন বেচাকেনার মহোৎসব। ফুটপাত, অবৈধ দোকানপাট আর বাজার মিলেমিশে একাকার।
রাখা আছে সারি সারি পণ্যের বস্তা, হচ্ছে রকমারি সব ফলের বেচাকেনা। সাথে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক শুনে যেকারও ভুল হতেই পারে, এটি হয়তো কোনো পেঁয়াজ কিংবা ফলের আড়ত। অথচ এটি আসলে কারওয়ান বাজারের পাশের সড়কের একটি সাধারণ দৃশ্য।
একজন পথচারী বলেন, "যে যার মত করে গাড়ি উল্টাপাল্টা করে ঢুকায়, রিক্সাও যাচ্ছেতাইভাবে চলছে, হাঁটার জায়গা নেই।"
আরেকজন বলেন, "অনেকসময় এমন অবস্থা শুরু হয় যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।"
বাজারের ময়লা আবর্জনা পেরিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়া পথচারীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ।
একজন পথচারী বলেন, "এদিকে পার্কিং, ওদিকে দোকানপাট, আরেকদিকে ভ্যান, হাঁটার জায়গা নেই।"
আরেক পথচারী বলেন, "মুরগীর দোকানসহ বিভিন্ন দোকানের বর্জ্য, এগুলা বর্জ্য যে আমাদের জন্য কী সমস্যা!"
বিক্রেতারা বলছেন, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনকে টাকা দিয়েই ফুটপাত ও সড়কে ব্যবসা করছেন তারা।
একজন বিক্রেতা বলেন, "পুলিশে টাকা নেয়, ম্যাথরে টাকা নেয়, জায়গার টাকাও নেয়।"
আরেক বিক্রেতা বলেন, "এখানে তো সিটি করপোরেশন থেকে ভাড়া নেওয়া হয়।"
" সরকারকে টাকাপয়সা দিয়েই আমরা বসি, আমরা তো ফাউ বসিনা।" কণ্ঠে ক্ষোভ আরেক বিক্রেতার।
প্রায় এক কিলোমিটার দুরত্বের এই সড়কজুড়েই পার্ক করা আছে অসংখ্য যানবাহন। রাস্তার উভয় পাশই দখলে চলে যাওয়ায় প্রধান সড়ক হয়েছে ব্যস্ত-গলির মতো। বাজার কিংরা অফিস করতে যারা আসছেন, তাদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
বিশৃঙ্খলভাবে চলছে রিকশা, ভ্যান, কাভার্ডভ্যান ও মালবাহী গাড়িও। শুধু চলাচলের জায়গা নেই পথচারীদের।
কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে আছে ছিনতাইয়ের ভয়। আবার নারীরা থাকেন শারীরিক নিগ্রহের আতংকে।
কারওয়ান বাাজরের এই সড়কটি সিটি করপোরেশন দখলমুক্ত করে চলাচল উপযোগী করবে এমন প্রত্যাশা সাধারন মানুষের।
এসবি/