সরবরাহ না থাকায় জমছে না বন্ড মার্কেট (ভিডিও)
মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ৫ নভেম্বর ২০২২ শনিবার
চাহিদা যথেষ্ট কিন্তু পর্যাপ্ত যোগান নেই। আর এতে জমে উঠছে না বন্ড মার্কেট। খরা কাটাতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
চলতি বছরের ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে শুরু হয় সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের লেনদেন। পরের দিন বন্ডের দুটি লেনদেন সম্পন্ন হয়। এরপর থেকে বন্ডের আর কোন লেনদেন নেই। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বন্ডের চাহিদা আছে ঠিকই। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় লেনদেন হচ্ছে না।
ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, “টেকনোলজিক্যাল প্রস্তুতিটা সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রযুক্তির মধ্যে এক্সচেঞ্চ, সিডিবিএল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনের প্রয়োজন হয়েছে, সেটা শেষ করা হয়েছে। এখন কাজ হচ্ছে সরকারি সিক্যুরিটিজ মার্কেটে দেওয়ার।”
বন্ডকে মার্কেটে গতিশীল করতে সরকারের নীতি সহায়তা চাইছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। পাশাপাশি বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বন্ড সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি বলছে ডিএসই।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বন্ড নিয়ে খুব আশাবাদি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের বন্ড জনপ্রিয় হবে বলে প্রত্যাশা সংস্থাটির।
বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, “সরকারি সিক্যুরিটিজটা নতুন প্রোডাক্ট, এটা শুরু করতে কিছু বিষয়ের প্রয়োজন হয় সেগুলো টেস্ট করা হয়েছে। একটা পর্যায়ে আমরা এসেছি।”
তবে বন্ড মার্কেটের বিদ্যমান স্থবিরতা কাটাতে শিগগির কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, “ডিমান্ড এবং সাপ্লাই এই দুই প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু জায়গায় গ্যাপ রয়েছে। সেইগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অ্যাসেসমেন্ট মিটিং করেছি।”
শিল্প-কারখানা স্থাপন ও প্রকল্প অর্থায়নে বিশ্বজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বন্ড। কমেছে ব্যাংকের ওপর একক নির্ভরতা। দেশে বন্ড মার্কেট শক্তিশালী হলে খেলাপি ঋণ কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ