ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ঋণে জর্জরিত আফ্রিকার আরও সাহায্য প্রয়োজন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৭ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৭:৫১ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০২২ সোমবার

সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতিতে বিদেশি ঋণে পর্যদুস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলো ২৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার ঋণে আটকে আছে বলে ব্লুমবার্গ বন্ডের তথ্য বলছে। 

এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা হয়ত প্রথমে ধাক্কা খেয়েছে, কিন্তু কেনিয়াসহ অন্যদের জন্যও তাদের অবস্থান ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

কেনিয়ার কর্মকর্তারা গত মাসে বলেছিলেন, তারা চীনকে ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বলবে। দেশটির একজন নবাগত ক্যাবিনেট মন্ত্রী পার্লামেন্টকে বলেছেন, রাজধানী নাইরোবির অর্থনীতিকে ‘শ্বাসরোধ’ করছে ঋণ।

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের মতে, চীন এখন বিশ্বের দক্ষিণের অংশের বেশিরভাগ অর্থনীতির ভাগ্য ধরে রেখেছে। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলো এ বছর যে দ্বিপাক্ষিক এবং ব্যক্তিগত-ঋণদাতাদের ঋণ পরিশোধ করবে এর পেছনে ৪০ শতাংশ অবদান রয়েছে চীনের।

নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা পূর্ব আফ্রিকার চেয়ে এটি আর কোথাও স্পষ্ট নয়, যেখানে চীন ভূ-রাজনৈতিক লাভের জন্য একপেশে ঋণ দিয়েছে। ‘ভ্যানিটি প্রজেক্ট’ বা বিলাসবহুল প্রকল্পগুলো এই মহাদেশে চীনের অবকাঠামোগত যে বিষ্ময় নিয়ে আসার কথা ছিল তা কেবলই ব্যয়বহুল প্রকল্পেই পরিণত হয়েছে। যেমন নাইরোবি ও মোম্বাসার মধ্যে রেলপথটি বেইজিংয়ের ৫০০ কোটি ডলার অর্থায়নে করা হয়েছে।

অগাস্টে চীন ঘোষণা দেয়, তারা আফ্রিকার ১৭টি দেশকে ২৩টি সুদমুক্ত ঋণ দেবে; এটি পূর্ব আফ্রিকার সার্বভৌম ঋণের উপর চীনের ভীত কতটা পাকাপোক্ত হয়ে উঠেছে তাই-ই চিত্রায়িত করে। কিন্তু কী পরিমাণ ছাড় দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সে ব্যাপারে নীরব।

কলেজ অফ উইলিয়াম অ্যান্ড মেরির ‘এইড ডেটা’ বলছে, ২০০১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে চীন উন্নয়নমূলক অর্থায়নের ৫ শতাংশেরও কম সুদ-মুক্ত ঋণ দিয়েছে। অপরদিকে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির চীন-আফ্রিকা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা বলছে, চীনা অর্থদাতারা গত দুই দশকে আফ্রিকান পাবলিক সেক্টরের ঋণগ্রহীতাদের ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি ধার দিয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে সেই সময়ের মধ্যে মাত্র ৩৪০ কোটি ডলারের সুদ-মুক্ত ঋণ বাতিল করা হয়েছে।

নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ঋণ সংকট নিয়ে ব্যস্ত চীন শিগগিরই আফ্রিকায় তার ঋণের জগাখিচুড়ি পরিষ্কারন সম্ভাবনাও কম। পূর্ব আফ্রিকা বিশ্বের সবচেয়ে ঋণগ্রস্ত অঞ্চল এবং দ্রুতই সেখানকার দেশগুলোর জন্য বিকল্প কিছু প্রয়োজন।

এসি