প্রোগ্রামিং হবে ভবিষ্যতের ভাষা: পলক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২২ বুধবার
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় আসর আইসিপিসি’র (ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট) চূড়ান্ত পর্বের আসর বসেছে ঢাকায়। আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা শিরোনামের এই অনুষ্ঠানের পর্দা উঠছে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে আসরের উদ্ভোধন করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং আইসিপিসি নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি. পাউচার। অন্যদের মধ্যে আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস কনটেস্ট -এর পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি)নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, এই মর্যাদাপূর্ণ আইসিপিসি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সবার জন্য সহজ, সুলভ এবং ন্যায়সঙ্গত সমাধানসহ একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতীক। আজকের এই প্রতিযোগিতা সমস্যার সমাধান করার চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে একটি নতুন বাংলাদেশ এবং এর অনেক নতুন সক্ষমতার স্বীকৃতি হলো এই প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এটি আমাদের বিশ্বকে উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। তিনি প্রতিযোগিতার পরিবর্তে একে অপরকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, প্রোগ্রামিং হবে ভবিষ্যতের ভাষা। প্রোগ্রামিং সংস্কৃতি, ভাষা এবং সমাজের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এটি বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্পষ্ট। আমি বিশ্বাস করি প্রোগ্রামাররা আগামী দিনের সমস্যা সমাধানকারী।
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ইউএপি বিশ্বাস করে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে তথ্যপ্রযুক্তি এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে আমরা ইউএপি পরিবার অত্যন্ত গর্ববোধ করছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীসহ দেশি-বিদেশি এক হাজারের বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। উক্ত আয়োজনে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সেলিব্রেশন অব গ্লোবাল ইয়ুথ, দ্য কনভারজেন্স (মিউজিক অফ দ্য ওয়ার্ল্ড এক্স এআই) এবং সাউন্ড অফ দ্য নেশন বিষয়ক মোট তিনটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা প্রদর্শিত হয়। আইসিপিসি ফাউন্ডেশন উক্ত আয়োজনের হোস্ট, কোচ, স্পন্সর এবং আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার পরিচালকদের (আরসিডি) অবদানের স্মরণে ফলক উপস্থাপন করেন। আইসিপিসি ফাউন্ডেশন ফলক উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল আয়োজনের স্বপ্ন দেখা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকে সম্মান জানায়। অনুষ্ঠানে প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপকের অবদানের জন্য প্রাপ্ত অ্যাওয়ার্ড মরহুম জামিলুর রেজা চৌধুরীর স্ত্রী গ্রহণ করেন।
আগামী ১০ নভেম্বর বসুন্ধরার আইসিসিবিতে ৪৫তম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস অনুষ্ঠিত হবে। সারাবিশ্ব থেকে ১৩৭টি দল এ বছরের ওয়ার্ল্ড ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে আইসিপিসির ৪৫তম আসরের আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বাংলাদেশের হোস্ট ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)।
কেআই//