ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

লেবু বিক্রি করেই চলে শাহানার সংসার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৫:০০ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২২ বুধবার

গত চার বছর ধরে সংসারের ঘানি টানছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহানা বেগম (৫০)। সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের হানিফ মিয়ার স্ত্রী তিনি। স্বামীর অসুস্থ হওয়ার পর নিজের কাঁধেই তুলে নেন সংসারের দায়িত্ব। তারপর থেকে লেবু বিক্রি করেই সংসার চালান তিনি।

শাহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টি.এ. রোডের মনুমেন্টের পাশে ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরের সামনে ভ্যানে করে লেবু বিক্রি করেন।

স্বামী, চার ছেলে ও চার মেয়েকে নিয়ে সংসার শাহানার। বর্তমানে ছেলে মেয়ে নিয়ে পৌর শহরের মৌড়াইল কলেজ পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
    
জানা যায়, আগে শাহানার স্বামী হানিফ মিয়া রিকশা চালাতেন। গত চার বছর আগে তিনি পাইলস রোগে আক্রান্ত হন। অসুস্থ হওয়ায় সে কোন কাজ-কর্ম করতে পারেন না। এরপর থেকে কষ্টে অনাহারে জীবন চলে তাদের। পরে সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন শাহানা। ভ্যানে নিয়ে নেমে পড়েন লেবু বিক্রি ব্যবসায়।

শাহানা বেগম বলেন, সংসার চালাতে খুব কষ্টে আছি। স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর থেকে লেবু বিক্রি করেই কায়ক্লেশে সংসার চালাই। স্বামীর কোনও বাড়ি-ঘর নেই। শহরের মৌড়াইল কলেজপাড়ায় ভাড়া থাকি। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বাসা ভাড়া দিতে হয়। এদিকে শান্তিতে ফুটপাতে লেবু বিক্রি করতে পারি না। পুলিশ মাঝে মধ্যে দোকান তুলে দেয়।  

তিনি আরও বলেন, শুনেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদের জায়গা নেই, ঘর নেই, তাদেরকে জায়গা ও ঘর দিচ্ছে। এই কথা শুনার পর একটি সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছি। জানিনা পাব কিনা।

শাহানা বলেন, তার ৪ ছেলে ৪ মেয়ের মধ্যে বড় দুই ছেলে বিয়ে করে শহরের কাজীপাড়ায় আলাদা সংসার করছেন। দুই মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তার সাথে দুই ছেলে, দুই মেয়ে থাকে। বর্তমানে তিনি লেবু বিক্রি করে প্রতিদিন ৫/৬ শত টাকা রোজগার করেন। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে তার কষ্ট হয়। 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন বলেন, শাহানা বেগমের খোঁজখবর নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগীতা করা হবে। যদি ওনার কোনো জায়গা জমি না থাকে তাহলে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ আশ্রয়ণ প্রকল্প জায়গায় ওনাকে একটি ঘর দেওয়ার ব্যবস্থ করে দেব। 

এমএম/