সরকারি টাকায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৩ এএম, ১০ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৪৪ এএম, ১০ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
ব্যয় সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে ডলার বাঁচাতে সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এর আগেও সরকারিসহ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ সফরে লাগাম টানতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল সরকার।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ এক আদেশে এখন থেকে সরকারি অর্থে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশ যাওয়া স্থগিতের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
এর আগেও সরকারিসহ সব স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ সফরে লাগাম টেনেছিল সরকার।
সরবরাহ সংকটে ডলারের দামে অস্থিরতা দেখা দিলে চলতি বছরের মে মাসে নানা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আগের আদেশের ধারাবাহিকতায় এমন আদেশ এল।
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ভারসাম্য প্রতিকূলে চলে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশে বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে আমাদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয়ে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কাজে না লাগায় সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে।
এরই অংশ হিসেবে দীর্ঘ আলোচনার পর বুধবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার প্রাথমিক সমঝোতার কথা বুধবার জানায় সরকার।
এদিনই সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিতসহ সরকারি খরচে চলে এমন সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর কর্পোরেশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
“এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর কর্পোরেশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নেও সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। “
তবে আদেশে বৈদেশিক সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযোগী/বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ অর্থায়নে স্কলারশিপ কিংবা ফেলোশিপের আওতাধীন মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
এছাড়া বৈদেশিক সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিশেষায়িত পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সেমিনারেও অংশ গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
এসবি/