ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

স্তন ক্যান্সার সচেতনতা বাড়াতে ‘নগদ’-এর কর্মশালা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৩ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর সকল কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কর্মশালা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি পালন করেছে ‘নগদ’।

সম্প্রতি বনানীতে ‘নগদ’-এর প্রধান কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।

এর আগে অনলাইনে কর্মশালায় আয়োজন করে ‘নগদ’। কর্মশালায় নগদ-এর শতাধিক কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার এই কর্মসূচিতে ‘নগদ’ এর প্রোগ্রাম পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে প্রভিডেন্ট হেলথ। 

প্রভিডেন্ট হেলথ-এর চিকিৎসকেরা কর্মশালায় বলেন, বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তারমধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যান্সার।

কর্মশালায় অংশ নিয়ে ‘নগদ’-এর কর্মীরা তাঁদের বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এ সময় ‘নগদ’-এর কুমিল্লা অঞ্চলের টেরিটরি ম্যানেজার তন্ময় দেবনাথ তাঁর মায়ের স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুর কথা জানান। 

তিনি বলেন, তাঁর মায়ের বয়স ছিল ৫০ বছর। সাড়ে চার মাস আগে তিনি জানতে পারেন তাঁর স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। ততদিনে জানা গেছে তাঁর ক্যান্সার তৃতীয় স্টেজে। ক্যান্সার শনাক্তের তিন মাসের মধ্যে তাঁর মা মারা যান। লজ্জা বা কোনো সংকোচ না করে সবাইকে স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তন্ময় দেবনাথ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৮ জনে ১ জন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার নারী এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য বলে মনে করেন ‘নগদ’-এ কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।

কর্মী ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্তন ক্যান্সারের কর্মশালার বিষয়ে ‘নগদ’-এর হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের ডিরেক্টর শাহারিয়ার সাঈদ বলেন, ‘কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ও সচেতনতার জন্য প্রতি সপ্তাহে ডেডিকেটেড ইনহাউস চিকিৎসক বসেন। এ ছাড়া কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সারা বছর ধরে টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে নগদ-এ।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দিয়েছি। সবাই যেন শারীরিকভাবে ঠিক থাকেন, সে জন্য পুষ্টিবিদের মাধ্যমে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে ফিট রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়া সবাইকে সচেতন করতে স্তন ক্যান্সার নিয়েও কর্মশালা করেছি আমরা। সবাই মিলে সুস্থ থেকে গন্তব্যে পৌঁছানোই আমাদের কাছে সফলতা।’

এসি