ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যায় নতুন মোড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২২ শুক্রবার

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নতুন মোড় নিচ্ছে। প্রযুক্তিগত তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, পেশাদার মাদক কারবারিদের হাতে খুন হয়েছেন ফারদিন।

সূত্র জানায়, নিখোঁজ হওয়ার রাতে ফারদিন কেরানীগঞ্জ, পুরান ঢাকার জনসন রোড, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ডেমরাসংলগ্ন চনপাড়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন। রাত দুইটা ৩৫ মিনিটে ছিলেন চনপাড়া এলাকায় তিনি।

প্রযুক্তিগত তদন্তে বলা হয়েছে, ওই রাতে ফারদিন তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে রামপুরায় নামিয়ে দেয়ার পর আরেক বান্ধবীর সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন। ওই বান্ধবীর সঙ্গে রাত একটা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মেসেঞ্জারে কথা বলেছেন ফারদিন।

মূলত মাদক কেনার জন্য ফারদিন কেরানীগঞ্জ ও জনসন রোডে যান। কয়েকটি জায়গায় কিনতে না পেরে শেষমেশ তিনি যান ডেমরা সংলগ্ন চনপাড়ায় পূর্বপরিচিতদের কাছে। সেখানে ফেনসিডিল কেনার চেষ্টা করেন তিনি। ফেনসিডিলের দরদাম নিয়ে চনপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি শাহীন ওরফে সিটি শাহীন ও তার লোকজনের সঙ্গে ফারদিনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আট-দশজন মিলে ফারদিনকে বেধড়ক পেটায়। পরে ওই রাতেই শাহীন ও তার লোকজন ফারদিনের নিথর দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়।

র‍্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে চনপাড়ায় মাদকের স্পটে র‌্যাব-১ এর একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় মাদক কারবারিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সিটি শাহীন নামে এক মাদকের গডফাদার গুলিবিদ্ধ হয় এবং পরে চিকিৎধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়।

আরেকটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হত্যার সঙ্গে মাদক কারবারিদের যোগসূত্রের বিষয়টি সামনে আসার পর শাহীন ও তার লোকজনকে গ্রেপ্তারে একাধিক সংস্থা মাঠে নামে।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক ধারণা ছিলো, হত্যার পর ফারদিনের লাশ কেরানীগঞ্জসংলগ্ন কোনো নদীতে ফেলা হয়েছে। তবে প্রযুক্তিগত তদন্তে ফারদিনের সর্বশেষ অবস্থান চনপাড়া এলাকায় নিশ্চিত হওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, চনপাড়াসংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে বুয়েট ছাত্রের লাশ ফেলা হয়। সর্বশেষ যে মাদক স্পটে ফারদিনের অবস্থান দেখা যায়, শীতলক্ষ্যা থেকে সেই স্থানের দূরত্ব সামান্যই।
এসএ/