ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভ্যানচালক হত্যায় প্রেমিকসহ দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

বেনাপোল প্রতিনিধি :

প্রকাশিত : ০১:৩৭ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২২ সোমবার

যশোরের শার্শা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান (৪৫) নামে এক ভ্যানচালককে হত্যার অভিযোগে দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা খাতুন এবং তার প্রেমিক সেলিমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

রোববার নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে আলী হোসেন মামলাটি করেন। 

জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট ইমরান আহম্মেদ এ অভিযোগের বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা সেই সংক্রান্ত তথ্য আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শার্শা থানা পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।

ফিরোজা বেগম ছাড়া অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সেলিম ও সেলিমের মা রওশনারা বেগম। নিহত মনিরুজ্জামান শার্শার বেড়ী নারায়ণপুর গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান ভ্যানচালক ছিলেন। আসামি ফিরোজা বেগম তার দ্বিতীয় স্ত্রী। অভাবের সংসার চালাতে মনিরুজ্জামান প্রতিদিন ভ্যান চালাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। এ সুযোগে আসামি সেলিম তার বাড়িতে গিয়ে ফিরোজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়।

সালিশে সেলিম ও ফিরোজা এ ধরনের কাজ আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু তারপরও তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি। 

মনিরুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের ১৭ দিন আগে সেলিমের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ফিরোজা। পরে খুঁজে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন মনিরুজ্জামান। এ নিয়ে সেলিমের সঙ্গে মনিরুজ্জামানের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সেলিম ও তার মা রওশনারা এবং ফিরোজা তিনজনে মিলে মনিরুজ্জামানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। 

গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনিরুজ্জামান নারায়ণপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বেতনা নদীর পাড় সংলগ্ন আমবাগানের কাছে পৌঁছালে উল্লেখিত আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা মতে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর এবং গামছা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। 

পরে তার লাশ আমগাছের একটি ডালের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরদিন স্থানীয় এক পথচারী প্রথমে লাশটি দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, আদালতের কোন আদেশ আমরা এখনও হাতে পায়নি। হাতে পাওয়ার পর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। 

এএইচ